সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: লালুপ্রসাদ যাদবের স্ত্রী তথা প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী রাবড়ি দেবীর সরকারি আবাসন খালি করার নির্দেশ নিয়ে উত্তপ্ত বিহার রাজনীতি। এহেন ডামাডোলের মাঝেই রাবড়ির সরকারি আবাসন নিয়ে চাঞ্চল্যকর দাবি করল মুখ্যমন্ত্রী নীতীশ কুমারের দল জেডিইউ। জেডিইউ মুখপাত্র নীরজ কুমার শনিবার জানালেন, রাবড়ি দেবীর সরকারি আবাসে থাকতে পারে গুপ্তকক্ষ। যেখানে সোনা, রুপো, নগদ টাকা ও জমির বিপুল পরিমাণ কাগজপত্র থাকার সম্ভাবনা।
শনিবার সংবাদমাধ্যমকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে নীরজ কুমার বলেন, রাবড়ি দেবীর পরিবারের কোনও সদস্য বর্তমানে পাটনায় নেই। তেজস্বী যাদবও বিদেশ বেড়াতে গিয়েছেন। এই অবস্থায় কার অনুমতিতে তাঁর আবাসন থেকে ঘর সাজানোর গাছপালা নিয়ে যাওয়া হল? এই ঘটনার তদন্ত হওয়া উচিত। ওই সব গাছপালা লালুর ব্যক্তিগত নাকি সরকারের তরফে দেওয়া হয়েছিল সেটাও খতিয়ে দেখা উচিত। রাজ্যসরকারের আবাসন বিভাগের আধিকারিকের কাছে তাঁর আবেদন, ওই আবাসনে ঠিক কী কী সরকারি সম্পত্তি ছিল তার বিস্তারিত তালিকা প্রকাশ করা উচিত।
এরপরই ওই নেতা বলেন, বাড়ির মালিকের অনুপস্থিতিতে যেহেতু ওই বাড়িতে ঢুকে জিনিসপত্র নিয়ে যাওয়া হয়েছে ফলে আমাদের অনুমান ওই বাড়িতে কোনও গোপন কক্ষ থাকতে পারে। যেখানে সোনা, রুপো, টাকা, জমির দলিল লুকিয়ে রাখা হতে পারে। ফলে সরকারের উচিত এই বিষয়ে সতর্ক থাকা। এই পরিবার ব্যক্তিগত ব্যবহারের জন্য এই আবাসন থেকে সরকারি জিনিসপত্র নিয়ে যেতে পারে। ফলে সরকারের উচিত কঠোর নজরদারি রাখা।
উল্লেখ্য, বিহারে সরকার গঠনের স্বপ্নভঙ্গ হয়েছে লালু পরিবারের। আরও একবার এরাজ্যে ক্ষমতায় এসেছে এনডিএ। ক্ষমতা দখলের পরই পাটনার ১০ সার্কুলার রোডের সরকারি বাংলো খালি করার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে লালুপ্রসাদ যাদবের পরিবারকে। আরজেডির রাজনৈতিক তৎপরতার মূল কেন্দ্র ছিল ১০ সার্কুলার রোডের এই সরকারি বাংলো। রাবড়ি দেবীর (Rabri Devi) নামে বরাদ্দ এই বাড়ি থেকেই কার্যত পরিচালিত হত দল। শুরুতে এই বাড়ি না ছাড়ার দাবি জানানো হলেও জানা যায় বৃহস্পতিবার সেখান থেকে সরিয়ে নিয়ে যাওয়া হয়েছে জিনিসপত্র। এই ইস্যুতেই এবার সরব হল শাসকদল জেডিইউ।
