সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: জাত তুলে গালিগালাজ! প্রতিবাদ করেছিলেন পড়ুয়া। তাতেই ধারালো অস্ত্র দিয়ে তাঁকে কোপানোর অভিযোগ ওঠে একদল দুষ্কৃতীর বিরুদ্ধে। আশঙ্কাজনক অবস্থায় হাসপাতালে ভর্তি করা হয় যুবককে। ঘটনার ১৫ দিন পর চিকিৎসাধীন অবস্থায় মৃত্যু হয় ছাত্রের। ঘটনায় পাঁচজনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। ঘটনাটি ঘটেছে উত্তরপ্রদেশের রাজধানী দেরাদুনে।
পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, মৃত যুবকের নাম অ্যাঞ্জেল চাকমা। বয়স ২৪ বছর। তিনি ত্রিপুরার বাসিন্দা। দেরাদুনের একটি বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের পড়ুয়া ছিলেন তিনি। জানা গিয়েছে, গত ৯ ডিসেম্বর তিনি ও তাঁর দাদা মাইকেল চাকমা বাজারে গিয়েছিলেন। কিছু ঘরোয়া সামগ্রী কিনছিলেন তাঁরা। সেই সময় কয়েকজন মদ্যপ যুবক বর্ণবিদ্বষী মন্তব্য করতে থাকেন। তার প্রতিবাদ করেন অ্যাঞ্জেল। বচসায় জড়িয়ে পড়েন তাঁরা। অভিযোগ সেই সময়, হঠাৎ ধারালো অস্ত্র দিয়ে চাকমা ভাইদের উপর আক্রমণ করেন দুষ্কৃতীরা।
ধারালো অস্ত্র দিয়ে কোপানোর পাশাপাশি লোহার রড দিয়ে বেধড়ক মারধরও করা হয় বলে অভিযোগ। অ্যাঞ্জেল রক্তাক্ত অবস্থায় মাটিতে লুটিয়ে পড়লে তাঁকে তড়িঘড়ি নিয়ে যাওয়া হয় হাসপাতালে। সেখানেই চিকিৎসাধীন ছিলেন যুবক। কিন্তু শেষ রক্ষা হয়নি। মৃত্যু হয় অ্যাঞ্জেলের। হাসপাতাল সূত্রে জানা গেছে, অ্যাঞ্জেলের মাথা ও ঘাড়ে গভীর আঘাত লেগেছিল।
১২ ডিসেম্বর দায়ের করা অভিযোগে মাইকেল জানিয়েছেন, "জাতপাত নিয়ে আপত্তিজনক কথা বলায় আমার ভাই প্রতিবাদ করে। তখন ওরা ধারালো অস্ত্র ও রড নিয়ে আমাদের উপর চড়াও হয়।" ঘটনায় মাইকেলও আহত হন। সৎকারের জন্য অ্যাঞ্জেলের দেহ ত্রিপুরায় নিয়ে যাওয়া হয়েছে। ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ।
