সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: দিল্লি মহিলা কমিশনের (Delhi Commission for Women’s) প্রধান স্বাতী মালিওয়ালকে টেনে হেঁচড়ে নিয়ে গেল মদ্যপ গাড়িচালক। জানা গিয়েছে, বৃহস্পতিবার ভোররাতে দিল্লি এইমসের কাছে এই দুর্ঘটনা ঘটে। গাড়ির জানলায় স্বাতীর (Swati Maliwal) হাত আটকে গিয়েছিল। সেই অবস্থাতেই বেশ খানিকটা দূরত্ব গাড়ি চালিয়ে নিয়ে যায় মদ্যপ চালক। পরে অবশ্য গাড়ি থামিয়ে উদ্ধার করা হয় স্বাতীকে। ইতিমধ্যেই এই ঘটনা নিয়ে দিলি পুলিশের কাছে অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে। প্রসঙ্গত, নববর্ষের রাতে দিল্লিতে একইভাবে এক মহিলাকে টেনে হিঁচড়ে নিয়ে গিয়েছিল একটি চলন্ত গাড়ি।
ঠিক কী ঘটেছিল? দিল্লি পুলিশের তরফে জানানো হয়েছে, বৃহস্পতিবার ভোররাতে সোয়া তিনটে নাগাদ এইমস হাসপাতালের দুই নম্বর গেটের উলটোদিকে দাঁড়িয়ে ছিলেন দিল্লি মহিলা কমিশনের প্রধান স্বাতী মালিওয়াল। আচমকাই তাঁর সামনে এসে দাঁড়ায় একটি গাড়ি। স্বাতীকে গাড়িতে উঠতে বলেন চালক। কিন্তু তাঁকে বারণ করে দেন স্বাতী। কথা বলতে গিয়েই জানলায় হাত রেখেছিলেন তিনি। সেখান থেকেই বিপত্তি ঘটে। হঠাৎ করেই জানলার কাচ বন্ধ করে দেন চালক। গাড়ির জানলায় স্বাতীর হাত আটকে যায়।
[আরও পড়ুন: সদ্য নির্বাচনে জেতা হিমাচলে মাত্র একদিন ভারত জোড়ো যাত্রা! রাহুলের বিরুদ্ধে ক্ষোভ প্রদেশ নেতাদের]
ওই অবস্থাতেই গাড়ি চালাতে শুরু করেন চালক। প্রায় ১৫ মিটার দূরত্ব এইভাবে টেনেহিঁচড়ে নিয়ে যাওয়া হয় স্বাতীকে। পরে অবশ্য গাড়ি থামাতে বাধ্য হয় ওই চালক। সঙ্গীদের হস্তক্ষেপে বড়সড় বিপদের হাত থেকে রক্ষা পান স্বাতী। দিল্লি পুলিশের তরফে জানানো হয়েছে, ইতিমধ্যেই গ্রেপ্তার করা হয়েছে ওই গাড়ির চালককে। প্রাথমিক পরীক্ষার পরে জানা গিয়েছে তিনি মদ্যপ ছিলেন। হরিশ চন্দ্র নামে ৪৭ বছর বয়সি ওই ব্যক্তির বিরিদ্ধে এফ আই আর দায়ের করা হয়েছে।
এই ঘটনায় ফিরে এসেছে ১ জানুয়ারি রাতের মর্মান্তিক ঘটনার স্মৃতি। অঞ্জলি সিং নামে ২০ বছর বয়সি এক তরুণী আটকে যান একটি চলন্ত গাড়ি। দীর্ঘ সময় ধরে তাঁকে টেনে নিয়ে যায় চালক। প্রবল আঘাতে মৃত্যু হয় ওই তরুণীর। গোটা ঘটনা নিয়ে টুইট করে স্বাতী বলেছেন, “নারীসুরক্ষার কী ব্যবস্থা রয়েছে, তা খতিয়ে দেখতেই বেরিয়েছিলাম। সেই সময়ই আমাকে হেনস্তা করে এক মদ্যপ গাড়িচালক। স্বাতীর প্রশ্ন, মহিলা কমিশনের প্রধানেরই যদি এহেন দশা হয়, তাহলে দেশের সাধারণ মানুষের সুরক্ষা কোথায়?
দেখুন ভিডিও।