সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: দেশে নারী নিরাপত্তার ছবিটা কত করুণ ও ভয়াবহ তা আবারও স্পষ্ট হল। বিহারে (Bihar) গণধর্ষণের (Gangrape) শিকার হতে হল এক মূক ও বধির কিশোরীকে। সেই সঙ্গে সে যাতে ধর্ষকদের চিনতে না পারে, তাই তার দু’চোখে ধারাল অস্ত্র দিয়ে আঘাতও করল অভিযুক্তরা! তবে এখনও স্পষ্ট নয়, তার দৃষ্টিশক্তি সম্পূর্ণ নষ্ট হয়েছে কিনা।
ঠিক কী হয়েছিল? গ্রামের প্রধান রাম ইকবাল মণ্ডল জানিয়েছেন, মঙ্গলবার মধুবনী জেলার বাসিন্দা ওই কিশোরী ছাগল চরাতে গিয়েছিল গ্রামের পাশের এক মাঠে। তার সঙ্গে ছিল আরও কয়েকজন শিশু। সেখান থেকেই তাকে তুলে নিয়ে গিয়ে ধর্ষণ করে অভিযুক্তরা। পাশের মনোহরপুকুর গ্রামে তাকে অজ্ঞান অবস্থায় আবিষ্কার করে তার সঙ্গে মাঠে যাওয়া একটি ছোট ছেলে। সে ছুটে গিয়ে খবর দেয় সবাইকে। কিশোরীর পরিবার দ্রুত সেখানে এসে উদ্ধার করে মেয়েটিকে। দ্রুত ওই কিশোরীকে স্থানীয় উমগাঁও স্বাস্থ্যকেন্দ্রে নিয়ে যাওয়া হলে ডাক্তাররা জানিয়ে দেন তার অবস্থা সংকটজনক। এরপর সেখান থেকে তাকে নিয়ে আসা হয় জেলা সদর হাসপাতালে।
[আরও পড়ুন : শিক্ষা হয়নি সাধ্বী প্রজ্ঞার! ফের গডসেকে ‘দেশভক্ত’ বললেন বিজেপি সাংসদ]
এখনও পর্যন্ত তিনজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে এই ঘটনায়। পুলিশ তদন্তে নেমেছে। প্রাথমিক তদন্তের পরে পুলিশের অনুমান, অভিযুক্তরা সকলে একই গ্রামের বাসিন্দা। ধৃতদের জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে।
যত সময় যাচ্ছে, ততই যেন বাড়ছে নারী নির্যাতনের তীব্রতা। কয়েক মাস আগে ন্যাশনাল ক্রাইম রেকর্ড ব্যুরোর (NCRB) রিপোর্ট অনুযায়ী, ২০১৯ সালে দেশে মেয়েদের উপর হওয়া অপরাধের যে খতিয়ান সামনে এসেছিল তা ছিল শিউরে ওঠার মতো। সেই রিপোর্ট অনুযায়ী, দেশে প্রতি ১৬ মিনিট অন্তর একজন মহিলা ধর্ষিতা (Rape) হন। সময়ের সঙ্গে সঙ্গে পরিস্থিতির যে কোনও উন্নতিই হয়নি, তা বারবার বোঝা গিয়েছে একের পর এক ধর্ষণের ঘটনায়। সেই তালিকাতে সাম্প্রতিক সংযোজন বিহারের এই ঘটনা। যেখানে ধর্ষকদের লালসা থেকে রেহাই পেল না অসহায় মূক ও বধির কিশোরীও।