সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: ২৭ বছর পরে বিজেপির দিল্লির তখতে প্রত্যাবর্তনে অন্যতম ‘ফ্যাক্টর’ হয়ে উঠছে কংগ্রেস! আপাতত যা ট্রেন্ড তাতে পদ্মশিবিরই সরকার গড়তে চলেছে বলে মনে করা হচ্ছে। আর সেক্ষেত্রে আপ-কংগ্রেসের মধ্যে বিবাদই একটা বড় কারণ হয়ে উঠছে। এমনই খোঁচা জম্মু ও কাশ্মীরের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী ওমর আবদুল্লার (Omar Abdullah)।
জম্মু ও কাশ্মীরের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী ওমর আবদুল্লা এক্স হ্যান্ডলে তিনি লিখলেন, 'আরও ঝগড়া করো নিজেদের মধ্যে। একে অপরকে শেষ করে দাও।' ভাইরাল হয়ে গিয়েছে পোস্টটি। অনেকেই মনে করছেন, কংগ্রেস ও আপ যদি একসঙ্গে লড়ত তাহলে এই পরিস্থিতি তৈরি হত না। এদিকে কংগ্রেসের মুখপাত্র সুপ্রিয়া শ্রীনাথে বলছেন, আপকে জেতানোর দায় কংগ্রেসের নয়। তাঁকে বলতে শোনা গিয়েছে, ''আম আদমি পার্টিকে জেতানোর দায় আমাদের নয়। আমাদের দায়িত্ব যতটা শক্তিশালী হয়ে সম্ভব নিজেদের লড়াইটা লড়া।''
প্রাথমিক ভাবে মনে করা হচ্ছিল, কংগ্রেস হয়তো জোট বাঁধবে আপের সঙ্গে। কিন্তু এক সর্বভারতীয় সংবাদমাধ্যমের সূত্রের দাবি ছিল, কংগ্রেসকে ১৫টি আসন দেবে আপ। সেই সঙ্গেই অন্য দলগুলিকে দেবে আরও ১ থেকে ২টি আসন। বাকিগুলিতে লড়বে ঝাড়ু শিবির। কিন্তু খোদ কেজরিই এর পর এক্স হ্যান্ডলে লেখেন, ‘আম আদমি পার্টি দিল্লির এই নির্বাচনে নিজের শক্তি অনুযায়ী একলাই লড়বে। কংগ্রেসের সঙ্গে জোট বাঁধার কোনও সম্ভাবনাই নেই।’ শেষপর্যন্ত তাই হয়। আপ একা লড়ার সিদ্ধান্ত নেয়। একই সম্ভাবনা তৈরি হয়েছিল হরিয়ানাতেও। সেখানেও ঝাড়ু শিবির ও হাত শিবিরের জোট বাঁধার সম্ভাবনা তৈরি হয়েছিল। কিন্তু শেষপর্যন্ত তারা আলাদা আলাদা করেই লড়ে ভোটে। আর সেক্ষেত্রে বহু কেন্দ্রে কংগ্রেসের ভোট কেটে নেয় আপ। দিল্লিতে এবার হাত শিবির সেভাবেই ‘বদলা’ নিচ্ছে বলেই মনে করছে ওয়াকিবহাল মহল।
ইন্ডিয়া জোটের মধ্যে ফাটল, বিশেষ করে কংগ্রেসের সঙ্গে অন্য দলগুলির দূরত্ব ক্রমেই বেড়েছে বলে শোনা গিয়েছে সম্প্রতি। সেই দিকটিই এবার স্পষ্ট হল দিল্লিতেও। আর এই অন্তর্দ্বন্দ্বের ফায়দা তুলছে বিজেপি। দিল্লিতে আম আদমি পার্টির বিপর্যয়ের নেপথ্যে নিশ্চিত ভাবেই অন্য কারণ রয়েছে। যেমন আবগারি দুর্নীতি। কিন্তু এতদসত্ত্বেও কংগ্রেসের সঙ্গে আপের বিবাদের মতো ফ্যাক্টরকে যে অস্বীকার করা যায় না তা মানছে ওয়াকিবহাল মহল।
