সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: ভারতীয় ন্যায় সংহিতা থেকে সদ্য পেশ হওয়া 'জি রাম জি' বিল। মোদি জমানায় একের পর এক বিলের নাম বা নামের সংক্ষিপ্ত রূপ হচ্ছে হিন্দি শব্দে। যা নিয়ে এবার প্রবল আপত্তি জানানো শুরু করল দক্ষিণের দলগুলি। তাঁদের অভিযোগ, ঘুরিয়ে সেই হিন্দিই চাপিয়ে দিচ্ছে মোদি সরকার।
সংবিধানের ৩৪৮ (১)(বি) ধারা অনুযায়ী, যে কোনও বিল, আইন, অর্ডিন্যান্স ইংরাজিতে লেখা বাধ্যতামূলক। যদি না সংসদে এর বিরুদ্ধে কোনও আইন পাশ হয়। যে ভাষাতেই সেই বিলের অনুবাদ হোক না কেন, ইংরাজিতে থাকতেই হবে। কিন্তু মোদি জমানায় নতুন ট্রেন্ড শুরু হয়েছে। সরকার যে বিলগুলি নতুন করে পেশ করছে সেগুলির নাম দেওয়া হচ্ছে হিন্দিতে। তাৎপর্যপূর্ণভাবে ওই হিন্দি নামটিই বিলের আগে ইংরাজি হরফে লেখা হচ্ছে। নামটির ইংরাজি অনুবাদ লেখা হচ্ছে না। বস্তুত বিলগুলির নামে ইংরাজি থাকছেই না। পুরো নামটা হয় হিন্দিতে করা হচ্ছে। নাহয় নামের সংক্ষিপ্ত এবং প্রচলিত রূপ হচ্ছে হিন্দিতে।
যা নিয়ে সরব দক্ষিণী নেতারা। ডিএমকে, কংগ্রেস, আরএসপি এবং স্থানীয় কিছু দক্ষিণী নেতা এ নিয়ে সরব। তারা বলছেন, সরকার ঘুরিয়ে সেই হিন্দি চাপিয়েই দিচ্ছে। এমন সব নাম বিলের রাখা হচ্ছে, যা উচ্চারণ করাই কঠিন। আরএসপি সাংসদ এন কে প্রেমচন্দন বলছেন, "বিলগুলির এমন সব নাম রাখা হচ্ছে, আমার পক্ষে উচ্চারণ করাই কঠিন।" কংগ্রেসের জ্যোতিমানি এবং ডিএমকের সেলভাগণপতি বলছেন, "এর মধ্যে হিন্দি আগ্রাসন দেখতে পাচ্ছি। আগেই জাতীয় শিক্ষা মিশনের টাকা আমাদের দেওয়া হচ্ছে না শুধু ত্রিভাষা নীতি না মানায়।"
ডিএমকে নেতা টি আর বালু বলছেন, "এটা পরিষ্কার দক্ষিণী রাজ্যগুলির উপর হিন্দি চাপানোর চেষ্টা।" পি চিদম্বরম বলছেন, "এত দিনের রীতি ছিল হিন্দি নাম হিন্দি হরফে, ইংরাজি নাম ইংরাজি হরফে। তাতে কেউ আপত্তি জানায়নি। এখন কেন সরকার এভাবে নাম বদলাচ্ছে।"
