সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: শাড়ি পরায় মহিলা সাংবাদিককে ঢুকতে বাধা দিয়েছিল দক্ষিণ দিল্লির (Delhi ) এক অভিজাত রেস্তরাঁ। এবার সেই রেস্তরাঁ বন্ধ করে দিল পুরসভা। অভিযোগ, রেস্তরাঁটি এতদিন বিনা ‘হেল্থ’ লাইসেন্সে ব্যবসা চালাচ্ছিল। গত ২৪ সেপ্টেম্বরই রেস্তোরাঁ বন্ধের নোটিস পাঠায় দক্ষিণ দিল্লি পুরসভা। এর পরই রেস্তরাঁটি বন্ধ করে দেন মালিক।
এ প্রসঙ্গে দক্ষিণ দিল্লি পুরসভার মেয়র মুকেশ সূর্য জানিয়েছেন, শাড়িকাণ্ডের আগে থেকেই আকিলার বিরুদ্ধে একাধিক অভিযোগ উঠেছিল। বিশেষ করে রেস্তোরাঁর খাবার নিয়ে বেশ কিছু অভিযোগ জমা পড়েছিল। তার প্রেক্ষিতেই তদন্ত কমিটি তৈরি করে পুরসভা। কমিটির রিপোর্টে উঠে আসে হেল্থ লাইসেন্স ছাড়াই চলছিল এই রেস্তরাঁ। তদন্ত কমিটির রিপোর্টের ভিত্তিতে হোটেল বন্ধের নোটিস দেওয়া হয়।
[আরও পড়ুন: Coronavirus: গত ২৪ ঘণ্টায় অনেকটা বাড়ল সংক্রমণ, টিকার দু’টি ডোজ পেলেন ২৫ শতাংশের বেশি ভারতবাসী]
জানা গিয়েছে, রেস্তরাঁয় পরিদর্শন চালিয়েছিল পুরসভার ইন্সপেক্টর। তখনই দেখা যায়, অস্বাস্থ্যকর পরিবেশে চলছে রেস্তরাঁটি। রান্নাবান্নাও অস্বাস্থ্যকর। দেখা যায়, হেল্থ লাইসেন্স ছাড়াই চলছে রেস্তরাঁটি। সতর্ক করা সত্বেও লাইসেন্স নেওয়ার ব্যবস্থা করেনি তারা। এর পরই রেস্তরাঁটি বন্ধের নোটিস পাঠানো হয়। সেই নোটিসের পরিপ্রেক্ষিতেই মালিক রেস্তরাঁটি বন্ধ করে দেয়। তিনি জানিয়েছেন, লাইসেন্স নিয়ে ফের রেস্তরাঁটি চালু করা হবে।
প্রসঙ্গত, দিল্লির আনসল প্লাজার ওই পানশালা-সহ রেস্তরাঁয় অনিতা চৌধুরী নামের ওই সাংবাদিক এই অভূতপূর্ব অভিজ্ঞতার মুখোমুখি হন। তিনি শাড়ি (Saree) পরে এসেছিলেন। এই ‘অপরাধে’ রেস্তরাঁয় ঢুকতে দেওয়া হয়নি সাংবাদিককে। বদলে বলা হল, ‘স্মার্ট’ ও ‘ক্যাজুয়াল’ পোশাক পরে আসার জন্য। নিজেই ভিডিও করে ঘটনাটি সোশ্যাল মিডিয়ায় পোস্ট করে দেন। রেস্তরাঁর বক্তব্য শুনে বাকরহিত অনিতা সোশ্যাল মিডিয়ায় লেখেন, এত অপমানিত তিনি কোনওদিন বোধ করেননি। ঘটনাটি সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল হয়ে যায়। এর পরই বন্ধ হয়ে গেল রেস্তরাঁটি।