সংবাদ প্রতিদিন জিডিটাল ডেস্ক: তাহলে কি আবারও বিমান দুর্ঘটনা হতে যাচ্ছিল? মঙ্গলবার এয়ার ইন্ডিয়ার দু’জন পাইলটকে ‘সাসপেন্ড’ করতেই এই প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে। আহমেদাবাদ বিমান দুর্ঘটনার মাত্র দু’দিন পরই মাঝ আকাশে যান্ত্রিক গোলোযোগ দেখা গিয়েছিল এয়ার ইন্ডিয়ার বিমানে। দিল্লি থেকে ভিয়েনাগামী একটি বিমান টেক অফের কিছুক্ষণের মধ্যেই নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে প্রায় ৯০০ মিটার নিচে নেমে আসে। যদিও পাইলটদের তৎপরতায় বিমানটিকে দ্রুত অবতরণ করানো সম্ভব হয় বলে জানা গিয়েছে।
গত ১৪ জুন ভোর ২টো ৫৬ মিনিটে বোয়িংয়ের এআই ১৮৭ বিমানটি দিল্লির ইন্দিরা গান্ধী আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর থেকে টেক অফ করে। ৯ ঘণ্টা আট মিনিট পর ভিয়েনা বিমানবন্দরে সুরক্ষিতভাবে বিমানটি অবতরণ করলেও, টেক অফের কিছুক্ষণ পরেই বিমানটি নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে ফেলেছিল বলে জানা গিয়েছে। এই ঘটনার পর এয়ার ইন্ডিয়ার তরফে DGCA কে পুরো ঘটনা জানানো হয়। বিমানের রেকডার্স থেকে তথ্য সংগ্রহের পাশাপাশি ঘটনার তদন্ত শুরু করে তারা। এরই মধ্যে জানানো হল যতদিন না পর্যন্ত তদন্তের রিপোর্ট সম্পূর্ণ আসছে, ততদিন ওই বিমানের ককপিটে থাকা দু’জন পাইলট কোনও বিমান ওড়াতে পারবেন না।
গত ১২ জুন আহমেদাবাদ থেকে লন্ডনগামী এয়ার ইন্ডিয়ার বোয়িং বিমান ভেঙে পড়ে। বিমানে থাকা ২৪২ জনের মধ্যে ২৪১ জনেরই মৃত্যু হয়। তাছাড়া বিমানটি যে হস্টেলের ছাদে ভেঙে পড়ে সেখানকার বেশ কয়েকজন পড়ুয়া ও স্থানীয় কয়েকজনেরও মৃত্যু হয়েছে বলে জানা যায়। গত ২৮ জুন গুজরাট সরকারের তরফে ২৬০ জনের মৃত্যু নিশ্চিত করা হয়েছে। যদিও ২৫ জুন গুজরাটের স্বাস্থ্য দপ্তরের তরফে জানানো হয়েছিল ২৭০ জনের মৃত্যু হয়েছে। চারদিনের মধ্যে সরকারের তরফে তথ্য পরিবর্তন করায় নতুন করে বিভ্রান্তি দেখা যায়। এদিকে বিমান দুর্ঘটনার পর বোয়িংয়ের বিমানগুলি পরীক্ষা করার সিদ্ধান্ত নেয় DGCA। সেই মতো একাধিক বিমানবন্দরে বোয়িং বিমানগুলির পরীক্ষা করা হয়। সূত্রের খবর, সেই অডিটে বেশ কিছু বিমানে প্রযুক্তিগত ত্রুটি সামনে এসেছে। সেই সমস্ত বিষয়গুলি ঠিক করে তবেই বিমানগুলিকে টেক অফ করার অনুমতি দেওয়া হয়। এরই মধ্যে সামনে আসল এয়ার ইন্ডিয়ার আরও একটি বিমানে প্রযুক্তিগত ত্রুটি। আর যার জেরে গ্রাউন্ড করা হল দু’জন পাইলটকে।
