নন্দিতা রায় ও সোমনাথ রায়: নির্বাচন কমিশনে বৈঠকে আঙুল উঁচিয়ে কথা বলেন মুখ্য নির্বাচনার কমিশন জ্ঞানেশ কুমার। নয়াদিল্লিতে প্রায় পৌনে তিনঘণ্টার বৈঠকের পর এমনই বিস্ফোরক দাবি তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের। গোটা বৈঠকের সিসিটিভি ফুটেজ প্রকাশেরও দাবি জানিয়েছেন তিনি।
অভিষেকের দাবি, বৈঠকের শুরুতে নাকি আঙুল উঁচিয়ে কথা বলেন জ্ঞানেশ কুমার। তাতে বাধা দেন অভিষেক। সাফ জানান, "আঙুল নামিয়ে কথা বলুন। মনে রাখুন, আপনি মনোনীত। আমি নির্বাচিত।" আরও একবার বিজেপির সঙ্গে জ্ঞানেশ কুমারের যোগসাজশের অভিযোগ করেন অভিষেক। তাঁর দাবি, "কো অপারেটিভ মন্ত্রী কে? অমিত শাহ। তার সচিব কে ছিল? জ্ঞানেশ কুমার। আপনারা মনে করেন এটা কাকতালীয়? ওকে এই প্রতিষ্ঠান, সংবিধান, দেশ ধ্বংস করার মিশন দিয়ে এখানে পাঠানো হয়েছে। আমরা মানুষের ক্ষমতার সামনে মাথা নিচু করি। ক্ষমতায় থাকা মানুষের সামনে নয়।" আর ঠিক সে কারণে জ্ঞানেশ কুমার ছাড়া বাকি দুই কমিশনার বৈঠকে চুপ ছিলেন বলেই দাবি অভিষেকের।
পৌনে ৩ ঘণ্টার বৈঠক যে আদতে সারবত্তাহীন তা জানান অভিষেক। এদিনের বৈঠকে ১০-১২টি প্রশ্ন করা হলেও, ২-৩টি ছাড়া কোনটির জবাব দিতে পারেনি কমিশন। তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদকের দাবি, "১.৩৬ কোটি লজিক্য়াল ডিস্ক্রিপ্রেন্সির তালিকা প্রকাশ হয়নি। বলছে প্রযুক্তিগত ত্রুটি।" শুনানির নামে অসুস্থ, বয়স্ক ভোটারদের ২-৩ ঘণ্টা করে বসিয়ে রেখে হেনস্তা করা হচ্ছে বলেও দাবি অভিষেকের। তাঁর প্রশ্ন, "পোস্টাল ব্যালটে ভোট হলে হিয়ারিং নয় কেন? বাদ যাওয়া ভোটার তালিকায় ৫৮ লক্ষের মধ্যে কতজন বাংলাদেশি, রোহিঙ্গা?" কোনও প্রশ্নের জবাব দিতে পারেনি কমিশন। মাইক্রো অবজার্ভার প্রসঙ্গেও প্রশ্নের সদুত্তর নেই। SIR শুনানিতে কেন BLA ২-দের ঢুকতে বাধা দেওয়া হচ্ছে, সে প্রশ্নও তোলেন অভিষেক। তা নিয়ে বিজ্ঞপ্তি জারির দাবি তোলেন অভিষেক।
