সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: ইভিএম হ্যাক করা সম্ভব, ২০১৪ লোকসভাতেও ইভিএম হ্যাক করেই ক্ষমতায় এসেছিল বিজেপি। বর্ষীয়ান বিজেপি নেতা তথা প্রাক্তন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী গোপীনাথ মুণ্ডে হ্যাকের তত্ত্ব জানতেন। আর সেকারণেই শেষ পর্যন্ত মরতে হয়েছে তাঁকে। এমনই সব চাঞ্চল্যকর দাবি করলেন মার্কিন মুলুকের এক হ্যাকার। তাঁর দাবি, তিনি নিজেই ইভিএম তৈরির সঙ্গে যুক্ত ছিলেন। ভারতে যে ইভিএমগুলি ব্যবহার করা হয় তা তিনি হ্যাক করে দেখাতে পারবেন।
[এক শতাংশ ধনীর হাতেই দেশের অর্ধেকের বেশি সম্পত্তি!]
২০১৪ নির্বাচনে মোদি ঝড়ে ধুয়েমুছে সাফ হয়ে গিয়েছিল বিরোধীরা। তবে, সৈয়দ সুজা নামের এক হ্যাকারের দাবি মোদি হাওয়া নয়, আসলে ইভিএম- রিগ করেই ভোটে জিতেছিল বিজেপি। মোট ২০১টি আসনে ইভিএম হ্যাক করে কংগ্রেসকে হারিয়েছে বিজেপি। মূলত মহারাষ্ট্র, মধ্যপ্রদেশ এবং উত্তরপ্রদেশে ভোটিং মেশিন রিগ করা হয়েছিল। এছাড়াও একাধিক নির্বাচনে হ্যাক হয়েছে ইভিএম। কিন্তু, কে এই সৈয়দ সুজা। এই ব্যক্তির দাবি, তিনি একসময় ইলেকট্রনিক্স কর্পোরেশন অব ইন্ডিয়া লিমিটেডের কর্মী ছিলেন। ভারতে যে ইভিএমগুলি তৈরি হয় তার ডিজাইন তিনিই বানাতেন। এই ইভিএমগুলি হ্যাক করা সম্ভব। ভারতের বিভিন্ন নির্বাচনে হ্যাক হয়েছে। ২০১৪ নির্বাচনেও হয়েছে। বর্ষীয়ান বিজেপি নেতা গোপীনাথ মুণ্ডেও সেকথা জানতেন। সেকারণেই, তাঁকে সরিয়ে দেয় মোদি সরকার। উল্লেখ্য, ২০১৪ সালের জুন মাসে বিজেপি ক্ষমতায় আসার কয়েক মাসের মধ্যেই পথ দুর্ঘটনায় প্রাণ হারান মোদি মন্ত্রিসভারই মন্ত্রী। সৈয়দ সুজার দাবি, তাঁর নিজের জীবনও বিপন্ন। তাঁর উপরেও আক্রমণ হয়েছে। ভয়ে ভারত থেকে পালিয়ে মার্কিন মুলুকের এক পাগলা গারদে আশ্রয় চেয়েছেন তিনি। এদিনও নিজে প্রকাশ্যে আসেননি এই হ্যাকার। ভিডিও কনফারেন্সিংয়ের মাধ্যমে সাংবাদিক বৈঠক করেন তিনি। সাংবাদিক গৌরী লঙ্কেশ ইভিএম হ্যাক সম্পর্কিত একটি রিপোর্ট প্রকাশ করার সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন বলেই তাঁকে সরিয়ে দেওয়া হয়েছে বলে দাবি এই হ্যাকারের।
[প্রধানমন্ত্রী হওয়ার সব যোগ্যতা আছে মমতার, মুখ্যমন্ত্রীর পাশে কুমারস্বামী]
সুজার দাবি, ২০১৪-র ভোটে অনিল আম্বানির সংস্থা রিলায়েন্স কমিউনিকেশন লো ফ্রিকোয়েন্সি সিগন্যালের মাধ্যমে ইভিএম হ্যাক করে নরেন্দ্র মোদিকে জিতিয়ে এনেছেন। নিজের দাবির স্বপক্ষে প্রমাণও তিনি দিতে পারেন। শুধু বিজেপি নয়, ইভিএম হ্যাক করার যায় এটা প্রমাণ করার জন্য আম আদমি পার্টি, সমাজবাদী পার্টি এবং বহুজন সমাজ পার্টিও তাঁর সঙ্গে যোগাযোগ করেছে। সুজার দাবি, তাঁর হস্তক্ষেপেই সম্প্রতি তিন রাজ্যে ইভিএম হ্যাক করতে পারেনি বিজেপি, নাহলে এই তিনটি রাজ্যই তাঁরা দখল করে নিত। তিনি জানিয়েছেন, তাঁর কাছে যাবতীয় দাবির প্রমাণ আছে। মার্কিন প্রশাসনের কাছে তা পেশও করেছেন। অনুমতি পেলেই সাংবদিকদের কাছে তা পেশ করবেন। এদিকে এই হ্যাকারের দাবি প্রকাশ্যে আসতেই আসরে নেমেছেন তৃণমূলনেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। টুইট করে তিনি বলেছেন, ইভিএম নিয়ে বিরোধীরা অনেক আগে থেকেই অভিযোগ করছিল। যে কোনও মূল্যে গণতন্ত্রকে বাঁচাতে হবে। নির্বাচন কমিশন অবশ্য এই ব্যক্তির সব দাবি খারিজ করে দিয়েছে।