সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: দিল্লির বুরারি কাণ্ডের ছায়া কর্নাটকের মাইসুরুতে। একই পরিবারের চার সদস্যের রহস্য মৃত্যুতে চাঞ্চল্য ছড়াল এলাকায়। সোমবার সকালে মাইসুরুর এক অ্যাপার্টমেন্ট থেকে উদ্ধার হয়েছে পেশায় ব্যবসায়ী চেতন, তাঁর স্ত্রী, নাবালক পুত্র ও মায়ের দেহ। আত্মঘাতী হয়েছে ওই পরিবার! নাকি কেউ বা কারা তাঁদের খুন করেছে? গোটা ঘটনার তদন্তে নেমেছে কর্নাটক পুলিশ।
পুলিশের তরফে জানা গিয়েছে, মৃত্যুর আগে সপরিবারে এক মন্দিরে পুজো দিতে গিয়েছিলেন চেতন। সেখান থেকে ফিরে একসঙ্গে রাতের খাবার খান তাঁরা। এর পর ভোরের ৪টে নাগাদ চেতন তাঁর আমেরিকা নিবাসী ভাই ভরতকে ফোন করেন। সেখানে তাঁকে জানান, সপরিবারে আত্মঘাতী হতে চলেছেন তিনি। ভরত তাঁকে কিছু বলার আগেই ফোন কেটে যায়। এরপর তড়িঘড়ি চেতনের এক আত্মীয়কে ফোন করে ভরত তাঁকে চেতনের বাড়িতে যেতে বলেন। তাঁরা সেখানে পৌঁছে দেখেন ততক্ষণে আত্মঘাতী হয়েছে গোটা পরিবার।
দুর্ঘটনার খবর পেয়ে দ্রুত সেখানে উপস্থিত হয় স্থানীয় বিদ্যারণ্যপুরম থানার পুলিশ। খোদ পুলিশ কমিশনার ও ডেপুটি পুলিশ কমিশনার উপস্থিত হন সেখানে। পুলিশের তরফে জানানো হয়েছে, বাড়ি থেকে একটি সুইসাইড নোট উদ্ধার হয়েছে। অনুমান করা হচ্ছে, বাড়ির সকলকে বিষ খাইয়ে গলায় দড়ি দিয়ে আত্মঘাতী হয়েছেন চেতন। সকলের দেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য পাঠানো হয়েছে। গোটা ঘটনার তদন্ত চলছে।
এদিকে স্থানীয় সূত্রে জানা যাচ্ছে, মেকানিক্যাল ইঞ্জিনিয়র চেতন কর্মসূত্রে দীর্ঘদিন মধ্যপ্রাচ্যে কাটিয়েছেন। ২০১৯ সালে পাকাপাকিভাবে ভারতে চলে আসেন তিনি। প্রতিবেশীদের সঙ্গে ভালো সম্পর্ক ছিল তাঁর। প্রাথমিকভাবে তদন্তকারীদের অনুমান, হয়ত বিপুল ঋণে জড়িয়ে পড়েছিলেন চেতন যার জেরেই এই কাণ্ড ঘটান তিনি। কেন এই আত্মহত্যা তা খতিয়ে দেখছে পুলিশ।
