shono
Advertisement

জিও’র প্রতি ক্ষোভ! পাঞ্জাবে দেড় হাজার মোবাইল টাওয়ারে ভাঙচুর বিক্ষোভরত কৃষকদের

এর আগে আন্দোলনকারী কৃষকরা জিও বয়কট করারও ডাক দিয়েছিলেন।
Posted: 09:50 AM Dec 29, 2020Updated: 09:50 AM Dec 29, 2020

সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: ফের কৃষি আইন (Farm Laws) বিরোধী বিক্ষোভের সরাসরি প্রভাব মুকেশ আম্বানির সাম্রাজ্যে। আরও একবার কৃষকদের ক্ষোভ আছড়ে পড়ল রিলায়েন্স জিও’র উপর। বিক্ষোভরত কৃষকরা পাঞ্জাবে অন্তত দেড় হাজার মোবাইল টাওয়ারে ভাঙচুর চালাল। এর মধ্যে ৯০০টি টাওয়ার রিলায়েন্স জিও’র (Jio)। কৃষকদের এই ‘দৌরাত্ম্যে’র ফলে পাঞ্জাবের কোনও কোনও এলাকায় সাময়িক ভাবে বিঘ্নিত মোবাইল পরিষেবা। যা নিয়ে উদ্বিগ্ন মুখ্যমন্ত্রী অমরিন্দর সিং। তাঁর সাফ ঘোষণা, কৃষকদের শান্তিপূর্ণ বিক্ষোভ তিনি সমর্থন করেন, কিন্তু রাজ্যে কোনওরকম হিংসা বরদাস্ত করা হবে না।

Advertisement

আসলে কৃষকদের একটা অংশের ধারণা, নতুন এই কৃষি আইন আনা হয়েছে মুকেশ আম্বানির সংস্থাকে সুবিধা করে দিতেই। রিলায়েন্সই এই বিলের ফলে সবচেয়ে বেশি লাভবান হবে। আর এই বদ্ধমূল ধারণার জেরেই বহু কৃষকের ক্ষোভ সরাসরি মুকেশ আম্বানির (Mukesh Ambani) বিরুদ্ধে। অনেক আগেই বিক্ষোভরত কৃষকদের (Farmers Protest) একাংশ জিও বয়কট করার ডাক দিয়েছে। যে ডাকে সাড়া দিয়ে হাজার হাজার গ্রাহক জিও থেকে পোর্ট আউট করে অন্য সংস্থার সঙ্গে যুক্তও হয়েছেন। বাধ্য হয়ে জিও’র তরফে ভোডাফোন এবং এয়ারটেলের (Airtel) বিরুদ্ধে ট্রাইয়ে অভিযোগও জানানো হয়। তবে, তাতে কাজের কাজ কিছু হয়নি। কৃষকরা জিও বয়কট করে ক্ষান্ত হননি। গত কয়েকদিন ধরে রিলায়েন্স তথা জিও’র বিভিন্ন সম্পত্তিও ধংস করার চেষ্টা চলছে। কখনও জিও’র স্টোরে ভাঙচুর, কখনও কেবল কেটে দেওয়া এবং সবশেষে টাওয়ারে গিয়ে ভাঙচুর। জিওর এক আধিকারিকের দাবি, এখনও পর্যন্ত শুধু পাঞ্জাবে দেড় হাজার মোবাইল টাওয়ার অকেজো হয়ে গিয়েছে। যার জেরে বিঘ্নিত পরিষেবা।

[আরও পড়ুন: আন্দোলনকারীদের সঙ্গে কেন্দ্রের বৈঠকের দিন বদল, বছর শেষে কি মিটবে কৃষক বিক্ষোভ?]

পাঞ্জাবের কংগ্রেস (Congress) সরকার এতদিন কৃষকদের এই আন্দোলনকে সমর্থন করে আসছে। সোমবার পর্যন্ত বিক্ষোভকারীদের বিরুদ্ধে পাঞ্জাব পুলিশ কোনও পদক্ষেপও করেনি। তবে, রাজ্যে হিংসার ঘটনা বাড়তে থাকায় শেষমেশ উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন মুখ্যমন্ত্রী অমরিন্দর সিং (Amarinder Singh)। তাঁর সাফ কথা, আন্দোলনের নামে হিংসা বরদাস্ত করা হবে না। যারা রাজ্যে হিংসার বাতাবরণ তৈরি করবে তাঁদের বিরুদ্ধে কড়া ব্যবস্থা নেওয়া হবে। পাঞ্জাবের মুখ্যমন্ত্রী সোমবার বলেন,”আমার সরকার এতদিন শান্তিপূর্ণ বিক্ষোভকে সমর্থন করে এসেছে। আমরা শান্তিপূর্ণ বিক্ষোভকারীদের সমর্থন করি। কিন্তু বিক্ষোভের নামে সরকারি বা বেসরকারি, কোনওরকম সম্পত্তি ধংস করাটা মেনে নেওয়া হবে না।”

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ

Advertisement