সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: ট্রেনের নাম গতিমান এক্সপ্রেস। কিন্তু সেই ট্রেনেরই গতি নিয়ে প্রশ্ন উঠল। গত এক বছরে গড়ে দশবারের মধ্যে তিনবার সময়ানুবর্তিতার পরীক্ষায় ডাহা ফেল দেশের সবচেয়ে দ্রুতগামী ট্রেন গতিমান এক্সপ্রেস! তথ্য জানার অধিকার আইনে এক ব্যক্তির আবেদন উত্তরে এমনই তথ্য দিয়েছে রেল।
[আসারাম মামলায় গতি কোথায়, গুজরাট সরকারকে তীব্র ভর্ৎসনা সুপ্রিম কোর্টের]
গত বছরের এপ্রিলে পতাকা নেড়ে গতিমান এক্সপ্রেসের উদ্বোধন করেছিলেন খোদ রেলমন্ত্রী সুরেশ প্রভু। দেশে রাজধানী, শতাব্দীর মতো দ্রুতগামী ট্রেনের অভাব নেই। কিন্তু, এই গতিমান এক্সপ্রেস সবার থেকে আলাদা। শুক্রবার ছাড়া সপ্তাহের সবদিনই দিল্লির নিজামুদ্দিন স্টেশন থেকে আগ্রা ক্যান্টনমেন্ট স্টেশন পর্যন্ত চলে ট্রেনটি। গতি ঘণ্টায় ১৬০ কিমি। যাত্রাপথে কোনও স্টেশনে দাঁড়ায় না গতিমান এক্সপ্রেস। কিন্তু, রেলেরই দেওয়া পরিসংখ্যানে দেখা গিয়েছে, গত এক বছরে দিল্লি হোক কিংবা আগ্রা, সময়মতো যাত্রা শুরু করেছিল গতিমান এক্সপ্রেস। কিন্তু, কখনও কুয়াশা আবার কখনও বা নিরাপত্তায় ব্যবস্থা গলদের কারণে মাঝপথে ট্রেনের গতি কমে গিয়েছে এবং গড়ে দশবারের মধ্যে তিনবার সঠিক সময়ে গন্তব্যে পৌঁছতে পারেনি দেশের সবচেয়ে দ্রুতগামী ট্রেন! রেল সূত্রে খবর, প্রথম বছরে অর্থাৎ গত বছরে ৩১৫ দিন দিল্লি ও আগ্রা রুটে গতিমান এক্সপ্রেস চালানো হয়। ৬৬ দিন আগ্রা ক্যান্টনমেন্টে স্টেশনে সময়মতো পৌঁছতে পারেনি ট্রেনটি। ফেরার পথে, ১২৭ দিন ট্রেন ‘লেট’ হয়েছে।
[অচলাবস্থা কাটল, ডোকলাম থেকে সেনা সরাচ্ছে দু’পক্ষ]
দেশের সবচেয়ে দ্রুতগামী ট্রেন গতিমান এক্সপ্রেস যে ‘লেট’ করে, তা তো বোঝা গেল। কিন্তু, গত এক বছর সঠিক সময়ে কী গন্তব্যে উদ্দেশ্যে রওনা হতে পেরেছিল ট্রেনটি? এক্ষেত্রে অবশ্য সময়ের কোনও নড়চড় হয়নি বলেই দাবি করেছে রেল। কিন্তু, রেল কর্মীদেরই একাংশ বলছেন, সময়ে ট্রেন চালানোর জন্য সবসময়ই চাপ থাকে। তাই ট্রেন ছাড়তে যদি ১০-১৫ মিনিট দেরিও হয়, তাহলে তা নথিভুক্ত করা হয় না। বস্তুত, ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে নিয়েছে দিল্লির নিজামুদ্দিন ও আগ্রা ক্যান্টনমেন্ট স্টেশনের কর্মীরাও।
[সম্প্রীতির নজির! মন্দির কর্তৃপক্ষকে লাউডস্পিকার ‘উপহার’ মুসলিমদের]
The post দশবারের মধ্যে তিনবারই ‘লেট’ দেশের সবচেয়ে দ্রুতগামী ট্রেন গতিমান এক্সপ্রেস appeared first on Sangbad Pratidin.
