ধ্রুবজ্যোতি বন্দ্যোপাধ্যায়: শতাব্দীপ্রাচীন দল হিসেবে ৫ বিধানসভার ফলাফলে কংগ্রেসের রিপোর্ট কার্ডে প্রাপ্তি তেমন কিছুই নেই। সৈকতশহর গোয়ায় (Goa) ৪০টির মধ্যে মাত্র ১১ টি আসন দখলে এসেছে কংগ্রেস ও জোটসঙ্গীদের। বিজেপি (BJP) ২০ টি আসন পেয়েছে। তৃণমূল এবং এমজেপি (মহারাষ্ট্রবাদী গোমন্তক পার্টি) জোট ২ টি আসনে জিতেছে। এমজেপির দুই জয়ী প্রার্থী বিজেপিকে সমর্থন করে গোয়ায় সরকার গড়তে সাহায্য করবেন বলে জানিয়েছেন। এই পরিস্থিতিতে তৃণমূলের (TMC) নজর শুধু ভোটের অঙ্কে। তা নিয়েই দলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের প্রতিক্রিয়া, ”তিন মাসে ৬ শতাংশ ভোট পেয়েছি, এটা অন্য কোনও রাজনৈতিক দল করে দেখাতে পারেনি।”
ফলপ্রকাশের আগেই গোয়ায় পৌঁছে গিয়েছিলেন সে রাজ্যের নির্বাচনী দায়িত্বপ্রাপ্ত তৃণমূল নেতা অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় (Abhishek Banerjee)। বৃহস্পতিবার ভোটের ফলপ্রকাশের পর এদিন রাতেই তিনি বলেন, ”অল্প দিনে অনেক মানুষের কাছে পৌঁছতে পেরেছি। হয়ত সকলের কাছে পৌঁছতে পারিনি। তবে ছয় শতাংশ ভোট পেয়েছি। আমরা না জিততে পারলেও মানুষের কাছে পৌঁছতে পেরেছি। আমাদের প্রতিনিধিরা মানুষের জন্য কাজ করবে। আগামী পাঁচ বছর গোয়ার মাটি কামড়ে পড়ে থাকব।”
[আরও পড়ুন: রাশিয়ার কাছে আত্মসমর্পণ করুন! টেলিগ্রামে ইউক্রেনীয় সেনাকে কেন এমন আরজি জেলেনস্কির?]
এরপর ভোটের অঙ্ক হিসেবনিকেশ করে অভিষেক জানান, চারটি আসনে অত্যন্ত কম ভোটের ব্যবধানে হেরেছেন তৃণমূল প্রার্থীরা। ব্যবধান মাত্র হাজার থেকে ১২০০। তার মধ্যে অন্যতম বেনাউলিমে তৃণমূল নেতা চার্চিল আলেমাও। তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদকের কথায়, ”এমন কয়েকটি বিধানসভা রয়েছে, যেখানে তৃণমূল তিন মাসের মধ্যে ৩০ শতাংশ ভোট পেয়েছে। গোয়ার মানুষের কাছে আমরা বদ্ধপরিকর। যা প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলাম, আমরা গোয়ায় থাকব এবং ময়দানে নেমে লড়াই করব। আগামী ৫ বছর মাটি কামড়ে পড়ে থাকব।” এরপরই তিনি তিন মাসে ৬ শতাশ ভোটপ্রাপ্তির কথা উল্লেখ করে বলেন, ”৬ শতাংশ ভোট সার্বিকভাবে তৃণমূল পেয়েছে। এটা অন্য কোনও রাজনৈতিক দল করে দেখাতে পারেনি। ভারতীয় জনতা পার্টি কোথাও এরকম পায়নি। আমি মনে করি, এটাও আমাদের কাছে একটা বড় সাফল্য।”
[আরও পড়ুন: শীঘ্রই ঘোষিত হবে ১০৬ পুরসভার পুরপ্রধানদের নাম, বৈঠকে ইঙ্গিত মমতার]
অভিষেকের সংকল্প, আগামী ৫ বছর পড়ে থেকে জোড়াফুল ফোটাবেন। স্ট্র্যাটেজি যা নেওয়ার, সময়মতো পর্যালোচনা করে নেওয়া হবে। তিন মাসের মধ্যে হয়তো সকলের কাছে পৌঁছতে না পারলেও গোয়া ছেড়ে চলে যাবেন না তাঁরা। প্রত্যেক প্রার্থী হার সত্ত্বেও মানুষের জন্য কাজ করে যাবেন।