সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: উত্তরপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথের পদাঙ্ক অনুসরণ করে এবার বুলডোজার অ্যাকশন গুজরাটে। আমরেলিতে এক 'অবৈধ' মাদ্রাসা গুঁড়িয়ে দিল পুলিশ। শুধু তাই নয় পুলিশের দাবি, যে মৌলবী ওই মাদ্রাসা পরিচালনা করতেন তাঁর পাকিস্তান যোগ রয়েছে। অভিযুক্ত ওই মৌলবীর নাম মহম্মদ ফয়জল আবদুল আজিজ শেখ।
এই অভিযান প্রসঙ্গে আমরেলির ডিএসপি পিআর রাঠোর বলেন, এসডিএমের তদন্তে জানা গিয়েছে ওই মাদ্রাসার কোনও বৈধ নথিপত্র ছিল না। মাদ্রাসার পরিচালন কমিটিও স্বীকার করে নিয়েছে এই নির্মাণ যথাযথ আইনি পদ্ধতি মেনে হয়নি। যার জেরেই ভেঙে ফেলা হয় ওই মাদ্রাসা। ওই অবৈধ নির্মাণ ভাঙার সময় কোনও রকম অশান্তির আশঙ্কা এড়াতে বিপুল সংখ্যায় পুলিশ মোতায়েন করা হয়। তবে স্থানীয় সূত্রে জানা যাচ্ছে, মাদ্রাসার বিরুদ্ধে অবৈধ নির্মাণের অভিযোগ উঠলেও এই অভিযানের নেপথ্যে রয়েছে ওই মৌলবীর পাকযোগের অভিযোগ।
২২ এপ্রিল পহেলগাঁওয়ে জঙ্গি হামলার ঘটনার পর অ্যালার্ট মোডে চলে যায় গোটা দেশ। পাক যোগের সন্দেহে অভিযুক্ত মৌলবী আজিজ শেখকে হেফাজতে নেয় গুজরাট পুলিশ। পুলিশের দাবি, জিজ্ঞাসাবাদের সময় অভিযুক্ত নিজের পাক যোগের কথা স্বীকার করে নেন। তদন্তে আজিজের ফোনে সন্দেহ জনক ৭টি পাকিস্তান ও আফগানিস্তান হোয়াটসঅ্যাপ গ্রুপের সন্ধান মেলে। জিজ্ঞাসাবাদ করে পুলিশ জানার চেষ্টা করছে পাকিস্তানে কাদের সঙ্গে যোগাযোগ ছিল অভিযুক্তের।
যদিও শীর্ষ আদালতের একের পর এক কড়া নির্দেশের পরও এই বুলডোজার অভিযান নিয়ে প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে। দেশজুড়ে একের পর এক বুলডোজার অভিযানের জেরে শীর্ষ আদালতের তরফে স্পষ্ট নির্দেশ দেওয়া হয়েছে, আগাম নির্দেশিকা ছাড়া কোনওভাবেই বুলডোজার অভিযান চালানো যাবে না। যে নির্মাণকে অবৈধ বলে ভাঙা হচ্ছে তার মালিককে আদালতে যাওয়ার সময়টুকু দিতে হবে। রাষ্ট্রের কোপে পড়লেই ইচ্ছেমতো কোনও কিছু ভেঙে ফেলা যায় না। তবে এখানে শীর্ষ আদালতের সেই সব নির্দেশ পালন করা হয়েছিল কিনা তা অবশ্য স্পষ্ট নয়।
