সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: এইচ-১বি ভিসার জন্য নতুন নিয়ম চালু করেছে ডোনাল্ড ট্রাম্প প্রশাসন। বলা হয়েছে, ওই ভিসার আবেদনকারীদের (নতুন ভিসা এবং পুনর্নবীকরণ দুই ক্ষেত্রে) সোশাল মিডিয়া অ্যাকাউন্টের ব্যক্তিগত তথ্যও 'পাবলিক' করতে হবে। মূল লক্ষ্য হল কড়া নজরদারি। ট্রাম্প প্রশাসন সোমবার থেকে H-1B এবং তার উপর নির্ভরশীল H-4 ভিসা আবেদনকারীদের বর্ধিত স্ক্রিনিং শুরু করবে। এর মধ্যে আবেদনকারীদের সোশাল মিডিয়া প্রোফাইল পরীক্ষা করাও অন্তর্ভুক্ত থাকবে।
নতুন নির্দেশিকাটি ট্রাম্প প্রশাসনের অভিবাসন সংক্রান্ত কঠোর ব্যবস্থার সর্বশেষ পদক্ষেপ। H-1B ভিসা প্রোগ্রামের 'অপব্যবহার' বন্ধ করতে মার্কিন প্রশাসন ব্যাপক পদক্ষেপ নিয়েছে। এই ভিসা পদ্ধতি ব্যবহার করে প্রযুক্তি সংস্থাগুলি, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে বিদেশী কর্মী নিয়োগের জন্য ব্যবহার করে। H-1B ভিসা পাওয়া কর্মীদের মধ্যে সবথেকে বেশি সংখ্যায় রয়েছে ভারতীয় পেশদাররা।
কিছুদিন আগেই, ভারতে অবস্থিত মার্কিন দূতাবাস ভিসা আবেদনকারীদের উদ্দেশ্যে একটি নির্দেশিকা জারি করে। সেখানে বলা হয়ে, যদি আপনি এমন একটি ইমেল পেয়ে থাকেন যেখানে জানানো হয়েছে যে আপনার 'ভিসার অ্যাপয়েন্টমেন্ট' তারিখ পুনঃনির্ধারিত হয়েছে। সেক্ষেত্রে 'মিশন ইন্ডিয়া'র মাধ্যমে নতুন করে অ্যাপয়েন্টমেন্ট করতে হবে। পাশাপাশি মার্কিন দূতাবাস সতর্ক করেছে, পুনঃনির্ধারিত তারিখের ইমেল পাওয়া সত্বেও কেউ যদি কনস্যুলেটে আসেন, তবে তাঁকে অফিসে প্রবেশে বাধা দেওয়া হবে।
মার্কিন বিদেশ দপ্তরের তরফে স্পষ্ট জানানো হয়, আবেদনকারীদের ব্যক্তিগত তথ্য তাঁদের সমাজমাধ্যমে 'পাবলিক' করে রাখতে হবে। সমাজমাধ্যমে তাঁদের কার্যকলাপ বিশ্লেষণ করেই ভিসা সংক্রান্ত সিদ্ধান্ত নেবে ট্রাম্প প্রশাসন। পড়ুয়াদের ভিসার ক্ষেত্রেও একই ধরনের যাচাইপ্রক্রিয়া থাকবে। ট্রাম্প প্রশাসনের নির্দেশিকায় বলা হয়েছে, ভিসা দেওয়ার সময় আমেরিকা খতিয়ে দেখবে যে, আবেদনকারী আমেরিকা এবং সে দেশের নাগরিকদের কোনও ক্ষতি করতে পারেন কি না। তেমন সম্ভাবনা থাকলে ভিসার আবেদন খারিজ করা হবে।
