সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: পুলিশ-বন্ধুর সঙ্গে ঘুরতে বেরিয়ে নিখোঁজ হয়ে গিয়েছিলেন এক তরুণী। একদিন নিখোঁজ থাকার পর উদ্ধার হল তাঁর দেহ। পাঞ্জাবের ভাকরা ক্যানেল থেকে ২২ বছর বয়সি এক তরুণীর দেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ। তদন্তে নেমে সঙ্গে থাকা যুবককে গ্রেপ্তার করেছেন তদন্তকারীরা। ময়নাতদন্তের পর দেহ পরিবারের হাতে তুলে দেওয়া হয়েছে। তবে কী কারণে খুন তা নিয়ে রয়েছে ধোঁয়াশা।
পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, মৃত তরুণীর নাম নিশা। তিনি হিমাচল প্রদেশের মাণ্ডি জেলার যোগিন্দরনগরের শেরু গ্রামের বাসিন্দা। চণ্ডীগড়ে তিন বছর ধরে থাকছিলেন। সেখানের একটি প্রতিষ্ঠানে বিমানসেবিকার প্রশিক্ষণ নিচ্ছিলেন নিশা। সেখানেই ৩৩ বছর বয়সি এক পুলিশ কর্মী যুবরাজের সঙ্গে পরিচয় হয় তাঁর। যুবক মোহালি থানায় কর্মরত। দুজনের মধ্যে বন্ধুত্বের সম্পর্ক ছিল বলে জানা গিয়েছে।
কিছুদিন আগে নিশা নিজের গ্রামের বাড়িতে গিয়েছিলেন। চলতি মাসের ২০ তারিখ বাবা-মায়ের সঙ্গে দেখা করে ফিরে আসেন চণ্ডীগড়ে। ওই দিনই তিনি যুবরাজের সঙ্গে নিজের ভাড়া বাড়িতে থেকে বেরন। সিসিটিভি ক্যামেরায় সেই দৃশ্যই ধরা পড়েছে।
চণ্ডীগড় থেকে ফিরে আসার পর থেকে আর নিশার সঙ্গে ফোনে যোগাযোগ করতে পারেননি পরিবারের সদস্যরা। ফোন সুইচ অফ ছিল বলে জানা গিয়েছে। যোগাযোগ করতে না পেরে তরুণীর পরিবার থানায় অভিযোগ দায়ের করে। তদন্তে নেমে ২১ তারিখ ওই ক্যানেল থেকে নিশার দেহ উদ্ধার করে পুলিশ। পরিবারে খবর দেওয়া হলে একদিন পর এসে দেহ শনাক্ত করেন সদস্যরা। এদিকে গ্রেপ্তার করা হয় যুবরাজকে।
তবে কী কারণে খুন? নাকি বন্ধুর সঙ্গে ঝামেলার জন্য তরুণী আত্মহত্যা করেছেন তা নিয়ে প্রশ্ন রয়েছে। ময়নাতদন্তের রিপোর্ট আসলে মৃত্যুর কারণ স্পষ্ট হবে বলে জানিয়েছে পুলিশ। সূত্র মারফত জানা যাচ্ছে, তরুণীকে ওই ক্যানেলের দিকে ঠেলে দেওয়া হয়েছে। সেখানেই ডুবে মৃত্যু হয়েছে তাঁর। তদন্ত চলছে বলে জানিয়েছে পুলিশ।