সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: ধর্ষণ, অ্যাসিড হামলা ও যৌন নির্যাতনের শিকার হওয়া নির্যাতিতাদের বিনামূল্যে চিকিৎসা পরিষেবা দিতে হবে হাসাপাতালগুলিকে। যদি পরিষেবা দিতে অস্বীকার করা হয় সেক্ষেত্রে শাস্তির মুখে পড়তে হবে। এমনই জানাল দিল্লি হাই কোর্ট।
গতকাল, সোমবার এক ১৬ বছরের কিশোরীর ধর্ষণের মামলার শুনানি ছিল। সেখানেই উচ্চ আদালত এমন মন্তব্য করেছে। বিচারপতি এম সিং ও বিচারপতি অমিত শর্মার বেঞ্চ জানিয়েছে, ''সমস্ত হাসপাতাল, নার্সিংহোম, ক্লিনিক, চিকিৎসা কেন্দ্রের দায়িত্ব ধর্ষণের শিকার নির্যাতিতা, পকসো মামলার অভিযোগকারিণী এবং অনুরূপ আক্রান্তদের বিনামূল্যে চিকিৎসা পরিষেবা দেওয়া। বিনামূল্যে চিকিৎসার মধ্যে থাকবে যে কোনও ধরনের পরীক্ষা এবং প্রয়োজনমতো দীর্ঘকালীন চিকিৎসাও। সেই সঙ্গেই তাঁদের প্রয়োজনীয় শারীরিক ও মানসিক কাউন্সেলিংও করাতে হবে।'' সেই সঙ্গেই আদালত পরিষ্কার জানিয়ে দিয়েছে, যৌন নির্যাতনের শিকারদের বিনামূল্যে চিকিৎসা দিতে অস্বীকার করলে সংশ্লিষ্ট চিকিৎসক, স্বাস্থ্যকর্মী ও হাসপাতাল কর্তৃপক্ষকে জরিমানার মুখে পড়তে হবে।
বিচারপতিদের বেঞ্চ জানিয়েছে, দিল্লিতে সমস্ত চিকিৎসাকেন্দ্র, হাসপাতালগুলিতে বোর্ডে লিখে রাখতে হবে যে এখানে ধর্ষণ, গণধর্ষণ, অ্যাসিড হামলার নির্যাতিতাদের বিনামূল্যে চিকিৎসা পরিষেবা দেওয়া হয়। এই সংক্রান্ত যে গাইডলাইন প্রকাশ করা হয়েছে, তাতে বলে দেওয়া হয়েছে, নির্যাতিতা যদি এইচআইভি আক্রান্ত হয়ে থাকেন তবে প্রয়োজনমতো সেই চিকিৎসাও দিতে হবে। সেই সঙ্গে আদালত এও জানিয়েছে, প্রয়োজনীয় আইডি প্রুফ ছাড়াই ভর্তি নিতে হবে আপৎকালীন চিকিৎসার ক্ষেত্রে। উল্লেখ্য, ১৬ বছরের নির্যাতিতার মামলাতেই হাই কোর্ট জানতে পারে যে তাকে চিকিৎসার জন্য দীর্ঘ অপেক্ষার মধ্যে দিয়ে যেতে হয়েছে। আর সেই পরিপ্রেক্ষিতেই এমন কথা জানাল হাই কোর্ট।