সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: নিকাশিনালা তৈরির জন্য মাটি খুঁড়তেই বেড়িয়ে এল এক মহিলার মৃতদেহ। শুক্রবার হরিয়ানার ফরিয়াবাদের ঘটনা। জানা গিয়েছে, যে বাড়ির সামনের রাস্তা খুঁড়ে ওই মহিলার দেহ পাওয়া গিয়েছে, দেহটি ওই বাড়ির গৃহবধূর। এই ঘটনা প্রকাশ্যে আসতেই চাঞ্চল্য ছড়িয়ে পড়ে এলাকায়। পুলিশ এসে মৃতদেহটি উদ্ধার করার পাশাপাশি খুনের অভিযোগে মহিলার স্বামী-সহ চারজনকে গ্রেপ্তার করে।
দু’বছর আগে শিকোহাবাদের বাসিন্দা তনুর সঙ্গে বিয়ে হয় ফরিয়াবাদের রোশননগরের বাসিন্দা অরুণের। এদিকে গত দু’মাস ধরে হঠাৎই বেপাত্তা হয়ে যান তনু। তাঁর সঙ্গে যোগাযোগ করতে পারছিলেন না বাপের বাড়ির সদস্যরাও। এনিয়ে অরুণের পরিবারের তরফে দাবি করা হয়, প্রেমিকের সঙ্গে পালিয়ে গিয়েছেন তনু। যদিও তাঁদের সেই দাবি বিশ্বাস করতে পারেননি তনুর বাপের বাড়ির লোকজন।
জানা গিয়েছে, তনু নিখোঁজ হওয়া নিয়ে পুলিশের দ্বারস্থ হন বাপের বাড়ির সদস্যরা। পুলিশও খোঁজ শুরু করে। তবে কোনও হদিস পাওয়া যাচ্ছিল না। এরই মধ্যে নিকাশিনালার জন্য মাটি খুঁড়তে গিয়ে উদ্ধার হয় তনুর দেহ। স্থানীয় কয়েকজনকে জিজ্ঞাসাবাদ করে পুলিশ আধিকারিকরা জানতে পেরেছেন, এপ্রিল মাসে বাড়ির পিছন দিকের রাস্তায় গর্ত খুঁড়তে দেখা গিয়েছিল তনুর শ্বশুরবাড়ির লোকেদের। গতকাল নিকাশিনালার জন্য মাটি খুঁড়তেই বেরিয়ে আসে একটি হাত। এরপরেই মাটি কেটে একটি দেহ উদ্ধার করা হয়।
এই ঘটনার পর তনুর স্বামী, শ্বশুর, শাশুড়ি-সহ এক আত্মীয়কে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। তনুর পরিবারের অভিযোগ, বিয়ের পর থেকেই সোনার গয়না ও টাকার দাবিতে অত্যাচার করা হত তনুর ওপর। ডেপুটি পুলিশ কমিশনার উষা কুণ্ডু জানিয়েছেন, কয়েকদিন আগে এক গৃহবধূর নিখোঁজ হওয়ার অভিযোগ জমা পড়েছিল। সেই মতো তদন্ত চলছিল। এরই মধ্যে একটি দেহ উদ্ধার হয়েছে। চারজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। ঘটনার তদন্ত চলছে।
