সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: সহপাঠীদের দিয়ে মুসলিম পড়ুয়াকে মারধরে অভিযুক্ত উত্তরপ্রদেশের (Uttar Pradesh) শিক্ষিকা এবার সাফাই গাইলেন। তাঁর দাবি, তিনি বিশেষভাবে সক্ষম বলেই অন্য পড়ুদারে দিয়ে ‘শাস্তি’ দেন মুসলিম ছাত্রকে, যেহেতু সে হোমওয়ার্ক করে আসেনি। এইসঙ্গে মুসলিমবিদ্বেষের অভিযোগ উড়িয়ে দেন তিনি। এদিকে এই ঘটনায় রাজনৈতিক চাপানউতর শুরু হয়েছে। যোগী প্রশাসনকে কটাক্ষ করে এমআইএম নেতা আসাদউদ্দন ওয়েসির প্রশ্ন, এখন বুলডোজার ব্যবহার করা হবে না কেন?
ঘটনাটি উত্তরপ্রদেশের মুজফফরনগরের একটি বেসরকারি স্কুলের। নামতা বলতে পারেনি এক মুসলিম পড়ুয়া। এর পরই ক্লাসের শিক্ষিকা নির্দেশ দেন, সহপাঠীরাই ওই পড়ুয়াকে মারধর করবে। শিক্ষিকা আরও বলেন, মুসলিম মহিলারা তাঁদের সন্তানদের পড়াশোনার দিকে খেয়াল রাখেন না। সেই জন্যই মুসলিম পড়ুয়াদের পড়াশোনার মান এত খারাপ। গোটা ঘটনার ভিডিও ভাইরাল হয়েছে সোশ্যাল মিডিয়ায়। যার পর নিন্দায় সরব হয়েছে গোটা দেশ।
[আরও পড়ুন: চন্দ্রযান ৩-সহ একাধিক সফল মিশনে মহিলা বিজ্ঞানীদের মেধা, ইসরোর ৭ মহিয়সীকে কুর্নিশ]
যদিও তৃপ্তি ত্যাগী নামের ওই শিক্ষিকা সাংবাদিকদের প্রশ্নের উত্তরে বললেন, “অভিভাবকরাই চাপ দেন, তাঁরাই ছাত্রদের পড়াশোনা বিষয়ে কড়া হতে বলেন। আমি বিশেষভাবে সক্ষম। সেই জন্যেই ছাত্রদের শাস্তি দিতে বলেছিলাম। যাতে সে ভবিষ্যতে হোমওয়ার্ক করে আসে।” তৃপ্তির আরও দাবি, এটি কোনওভাবেই সাম্প্রদায়িক ঘটনা নয়। উদ্দেশ্যপ্রণোদিতভাবে ভিডিও এডিট করা হয়েছে। “ছোট ঘটনাকে” বড় করে তোলা হয়েছে। বলেন, “আমার তেমন উদ্দেশ্য (ধর্মীয়) ছিল না। আমি ভুল স্বীকার করছি কিন্তু অকারণে বড় ইস্যুতে পরিণত করা হয়েছে।”
[আরও পড়ুন: ‘ঘৃণার কারখানা চালাচ্ছেন মোদি-শাহ’, উত্তরপ্রদেশে মুসলিম পড়ুয়ার নির্যাতন নিয়ে সরব তৃণমূল]
উল্লেখ্য, শিক্ষিকার কাণ্ডে মুখ খুলেছেন কংগ্রেস নেতা রাহুল গান্ধী। তিনি টুইট করেন, “নিষ্পাপ শিশুদের মনে বিদ্বেষের বীজ বুনে দেওয়া হচ্ছে। স্কুলের মতো পবিত্র স্থানে এক শিক্ষক এমন কথা বলছেন। এই একই কেরোসিন (পড়ুন উস্কানির জ্বালানি) দেশের প্রত্যেক প্রান্তে ছড়িয়ে রেখেছে বিজেপি।” রাহুল বক্তব্য নিয়েও আপত্তি করেছেন তৃপ্তি। তাঁর মতে, এমন ইস্যুতে এত কথা উঠলে শিক্ষকরা কীভাবে ছাত্রদের পাঠ দেবেন। এদিকে মুসিলম ছাত্রকে উচিত শিক্ষা দেওয়ার ঘটনার তীব্র নিন্দা করেছেন এআইএমআইএম প্রধান আসাদউদ্দিন ওয়েসি। যোগী সরকারকে কটাক্ষ করে তিনি তিনি প্রশ্ন তোলেন, এখন বুলডোজার নীতি কোথায় গেল?