সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: লোকসভায় পাশ হয়ে গেল আয়কর বিল। সিলেক্ট কমিটির সুপারিশ অন্তর্ভুক্ত করার পর লোকসভায় পাস হয়ে গেল বিলটি। সংসদে পেশ হলেও নতুন আয়কর বিল প্রত্যাহার করে নিয়েছিল নরেন্দ্র মোদি সরকার। অবশেষে সিলেক্ট কমিটির সুপারিশ মেনে সোমবার নতুন করে পেশ হয় বিলটি। সিলেক্ট কমিটির অধিকাংশ সুপারিশ মেনেই বিল পাশ হয়।
চলতি বছরের ফেব্রুয়ারি মাসে লোকসভায় পেশ হয়েছিল এই বিলটি। তবে শুরু থেকেই এই বিলের কিছু অংশ নিয়ে আপত্তি জানানো হয় বিরোধীদের তরফে। সংসদ ওয়াকআউট করে বিরোধীরা। কংগ্রেস সাংসদ মণীশ তিওয়ারি, আরএসপির সাংসদ এনকে প্রেমচন্দন জানান, নতুন এই বিল পুরনো বিলের তুলনায় আরও বেশি জটিল। তৃণমূল সাংসদ সৌগত রায় বিলটিকে ‘যান্ত্রিক’ বলে তোপ দাগেন। এই অবস্থায় বিলটিকে পাঠানো হয় সিলেক্ট কমিটিতে। সেখানে বিজেপি নেতা বৈজয়ন্ত পান্ডার নেতৃত্বে এই কমিটি বিলটিতে বেশকিছু সংস্করণ করা হয়।
সংশোধিত বিলটি সোমবার পেশ হয় লোকসভায়। জানা গিয়েছে, সিলেক্ট কমিটি মোট ২৮৫টি সুপারিশ করেছিল বিলটি নিয়ে। প্রত্যেকটিই গৃহীত হয়েছে। নতুন সুপারিশগুলির মধ্যে রয়েছে:
১। রিটার্ন ফাইল করতে দেরি হলেও রিফান্ড চাইতে পারেন করদাতারা।
২। টিডিএস ফাইল করতে দেরি হলেও পেনাল্টি হবে না।
৩। যাঁরা কর দেন না, তাঁদের আগে থেকেই নিল সার্টিফিকেট গ্রহণ করতে পারেন।
৪। এককালীন পেনশনের ক্ষেত্রে কর ছাড় মিলবে।
৫। সম্পত্তি করের নিয়মাবলি আরও স্পষ্ট করা হয়েছে।
এছাড়াও আয়করের নিয়মে একাধিক পরিবর্তন হয়েছে। যদিও বর্তমানে যে কর কাঠামো রয়েছে সেখানে কোনও পরিবর্তন হয়নি। আয়কর বিশেষজ্ঞ এবং সরকারি সূত্রে খবর, ১ এপ্রিল, ২০২৬ থেকে নতুন আয়কর আইন কার্যকর হতে পারে। তবে সোমবার এই বিল নিয়ে আলোচনার সময়ে লোকসভায় বিরোধীরা কার্যত কেউই ছিলেন না। নামমাত্র আলোচনার পরে বিলটি পাশ হয়ে গিয়েছে। এইভাবে ফাঁকা সংসদে বিল পাশ করানো নিয়ে ক্ষুব্ধ বিরোধীরা।
