সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: ইরান-ইজরায়েল যুদ্ধ, গাজায় ইজরায়েলি সেনার অভিযান-সবমিলিয়ে মধ্যপ্রাচ্যে অগ্নিগর্ভ পরিস্থিতি। তার জেরে গোটা বিশ্বে তেল আমদানি-রপ্তানি ব্যাপক সংকটের মধ্যে পড়তে পারে, এমন সম্ভাবনা তৈরি হয়েছে। এহেন পরিস্থিতিতে ফের 'পুরনো বন্ধু' রাশিয়ার উপরেই আস্থা রেখেছে ভারত। জুন মাসে প্রতিদিন ২.০৮ মিলিয়ন ব্যারেল রুশ তেল আমদানি করেছে ভারত, গত এক বছরের নিরিখে যা সর্বোচ্চ।
কেপলার নামে এক বিশ্বব্যাপী সংস্থার পরিসংখ্যান অনুযায়ী, ২০২৪ সালের জুলাই মাসের পর এই প্রথমবার রাশিয়া থেকে এত বেশি পরিমাণ অশোধিত তেল আমদানি করল ভারত। গড়ে প্রত্যেকদিন ২০ লক্ষ ৮ হাজার ব্যারেল অশোধিত তেল রাশিয়া থেকে আমদানি হয়েছে। দ্য সেন্টার ফর রিসার্চ অন এনার্জি অ্যান্ড ক্লিন এয়ার নামে আরেকটি সংস্থার মতে, জুন মাসে ভারতের অশোধিত তেল আমদানির পরিমাণ ৬ শতাংশ কমেছে। কিন্তু একমাসে রাশিয়া থেকে তেল আমদানির পরিমাণ বেড়েছে ৮ শতাংশ। রাশিয়া থেকে আমদানিকৃত তেলের অর্ধেকেরও বেশি গিয়েছে ভারতের নির্দিষ্ট তিনটি শোধনাগারে।
প্রসঙ্গত, জুন মাসে ইরান-ইজরায়েলের মধ্যে ক্ষেপণাস্ত্র হামলার জেরে ভারতে জ্বালানি তেলের দাম বাড়ার আশঙ্কা ছড়ায়। ইরান থেকে ১৫৭ ব্যারেল অপরিশোধিত তেল বাজারে আসে। যা বিশ্বের ১২ শতাংশ তেলের চাহিদা মেটায়। ইরান-ইজরায়েল সরাসরি সংঘাতে জড়ানোর ফলে মনে করা হয়েছিল ভারত-সহ বিশ্বের বিভিন্ন দেশে তেলের দাম বাড়তে চলেছে। তবে সেসময়ে কেন্দ্রীয় পেট্রোলিয়াম মন্ত্রী হরদীপ সিং পুরী আশ্বাস দিয়েছিলেন, তেলের দাম বাড়বে না।
ইরান-ইজরায়েল সংঘাতের মাঝেই রাশিয়া থেকে তেল আমদানির পরিমাণ বাড়িয়ে দেয় ভারত। ২০২২ সালে রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধের পর থেকেই ভারতে রুশ তেলের আমদানি লাফিয়ে বাড়ে। কমদামে তেল কেনা নিয়ে পশ্চিমি দুনিয়ার চাপের মুখেও মাথা নোয়ায়নি ভারত। বিপুল পরিমাণে তেল আমদানি চলতে থাকে। এবার পশ্চিম এশিয়ায় সংঘাতের মাঝেও সেই রাশিয়ার উপরেই ভরসা রাখল ভারত।
