সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: পহেলগাঁও জঙ্গি হামলার পালটা ভারতের অপারেশন সিঁদুর। পাকিস্তানের একাধিক জঙ্গিঘাঁটি গুঁড়িয়ে দিয়েছে ভারতীয় সেনা। পালটা আক্রমণের ব্যর্থ চেষ্টা করেছে পাকিস্তান। যুদ্ধের আবহ তৈরি হতেই ময়দানে নামেন ট্রাম্প। মার্কিন প্রশাসনের মধ্যস্থতায় সংঘর্ষবিরতিতে (Ceasefire) সম্মতি দেয় দুই দেশই। কিন্তু কয়েক ঘণ্টার মধ্যেই সেই চুক্তি ভেঙেছে শরিফের দেশ। শনিবার রাতেও কাশ্মীর ও পাঞ্জাবের একাধিক এলাকায় ড্রোন হামলার চেষ্টা করেছে পাক সেনা। এই পরিপ্রেক্ষিতেই এবার পাকিস্তানকে কড়া বার্তা দিলেন ডিজিএমও লেফটেন্যান্ট জেনারেল রাজীব ঘাই। জানিয়ে দিলেন, রবিবার রাতটাই দেখা হবে। এদিন ফের যদি সংঘর্ষবিরতি চুক্তি লঙ্ঘন করা হয় তাহলে কড়া পদক্ষেপ করবে ভারত (India)। সাফ জানালেন, পাকিস্তানের (Pakistan) আগ্রাসী মনোভাবকে কোনও ভাবেই বরদাস্ত করা হবে না।
পহেলগাঁওয়ের পালটা হিসেবে গত ৭ মে মধ্যরাতে পাকিস্তানের ৯ টি জঙ্গিঘাঁটি গুঁড়িয়ে দেয় ভারতীয় সেনা। মৃত্যু হয় কমপক্ষে ১০০ জঙ্গির। সেই থেকেই চলছিল অপারেশন সিঁদুর। পালটা বারবার আক্রমণের চেষ্টা করে শরিফের দেশ। কিন্তু ভারতীয় সেনা প্রতিবারই পাক সেনার আক্রমণের চেষ্টা ব্যর্থ করে। এদিকে প্রত্যাঘাতের ঝাঁজ বাড়াতে থাকে ভারত। সূত্রের খবর, এরই মাঝে ভারত যাতে যুদ্ধ পরিস্থিতি থেকে সরে দাঁড়ায়, ঘুরপথে সেই আর্জি জানায় পাকিস্তান। শনিবার বিকেল ৫ টায় ঘোষণা করা হয় সংঘর্ষবিরতি। তবে সেই সময়ই বলা হয়েছিল, পাকিস্তান যদি প্ররোচনা দেয় তাহলে পালটা দেবে ভারতও। শনিবার রাতের হামলার চেষ্টার পর পাকিস্তানকে উচিত শিক্ষা দিতে সীমান্তে সেনা কমান্ডারডের ‘পূর্ণ স্বাধীনতা’ দেন সেনাপ্রধান উপেন্দ্র দ্বিবেদী। রবিবার সাংবাদিক বৈঠকে ডিজিএমও লেফটেন্যান্ট জেনারেল রাজীব ঘাই জানালেন, শনিবার দুপুর ৩টে ৩৫ মিনিটে পাকিস্তানের ডিজিএমও-র সঙ্গে তাঁর কথা হয়। তখনই দুই দেশ বিকেল ৫টা থেকে সংঘর্ষবিরতিতে সম্মত হয়। ঘাই আরও জানান, পাকিস্তানের ডিজিএমও-ই এই প্রস্তাব দিয়েছিলেন। আগামিকাল, ১২ মে দুপুর ১২টায় এই নিয়ে আরও আলোচনার সিদ্ধান্তও হয়।
ডিজিএমও লেফটেন্যান্ট জেনারেল রাজীব ঘাই জানান, প্রাথমিকভাবে ৩৬ ঘণ্টার জন্য সংঘর্ষবিরতির সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। কিন্তু শনিবার রাতেই প্রত্যাশিতভাবে তা লঙ্ঘন করে পাকিস্তান। এরপরই হুঁশিয়ারি দিয়ে তিনি বলেন, রবিবার রাতে বা তার পর অর্থাৎ আগামিকালের বৈঠকের আগে একই ঘটনার পুনরাবৃত্তি হলে সেনা কমান্ডারদের তা প্রতিহত করতে পূর্ণ ক্ষমতা দেওয়া হয়েছে। পাশাপাশি ডিজিএমও লেফটেন্যান্ট জেনারেল আরও জানান, যদি চুক্তি রক্ষা করে পাকিস্তান। তবে আগামিকালের বৈঠকে সংঘর্ষবিরতি চুক্তির মেয়াদ বাড়ানো নিয়ে ভাবনাচিন্তা করা হবে। অন্যথায় এক বিন্দু জমিও ছাড়বে না ভারত।
