নন্দিতা রায়, নয়াদিল্লি: অব্যাহত পাকিস্তানের যুদ্ধ (India Pakistan War) জিগির। গতকাল রাত হতেই ফের ভারতে হামলা চালানোর চেষ্টা করে পাক ফৌজ। কিন্তু ভারতের প্রত্যাঘাতে গুঁড়িয়ে যায় তাদের হাতিয়ার। তাই কিছুই করতে না পেরে নির্লজ্জের মতো ভারতের বিরুদ্ধে ভুয়ো প্রচার চালাচ্ছে ইসলামাবাদ। পাকসেনা নাকি ভারতের বেশ কয়েকটি বায়ুসেনা ঘাঁটি উড়িয়ে দিয়েছে। এই দাবি যে পাকিস্তানের অপপ্রচার তা চোখে আঙুল দিয়ে দেখিয়ে দিল দিল্লি। ভিডিও প্রকাশ করে ফের পাকিস্তানের মুখোশ খুলে দিয়ে বিদেশমন্ত্রক ও সেনা।
শুক্রবার রাত নামতেই অতীতের মতো ভারতে এলোপাথাড়ি ড্রোন হামলা শুরু করেছিল পাকিস্তান। জম্মু থেকে গুজরাট পর্যন্ত দেশের ২৬টি জায়গায় হামলা (India Pakistan Tension) চালায় পাক ড্রোন। যদিও পাকিস্তানের সেই হামলার বেশিরভাগই ধ্বংস করে ভারতের শক্তিশালী এয়ার ডিফেন্স। পাঞ্জাবের ফিরোজপুরে ড্রোন হামলায় ৩ জন আহত হওয়ার খবর আসে। এই পরিস্থিতিতে রাতে প্রতিরক্ষামন্ত্রী রাজনাথ সিং, বিদেশমন্ত্রী জয়শংকর ও তিন সেনা প্রধানের সঙ্গে বৈঠক করেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। এরপর শেষ রাতের দিকে একাধিক পাক সংবাদমাধ্যমের তরফে দাবি করা হয় পাকিস্তানের তিন বায়ুসেনা ঘাঁটিতে বিরাট বিস্ফোরণের শব্দ শোনা গিয়েছে।
এই মুহূর্তের পরিস্থিতি নিয়ে আজ শনিবার সকালে সাংবাদিক বৈঠক করেন বিদেশ সচিব বিক্রম মিসরি, কর্নেল সোফিয়া কুরেশি ও উইং কমান্ডার ব্যোমিকা সিং। সিরসা-সহ একাধিক জায়গায় সেনাঘাঁটি ধ্বংস এবং এস-৪০০ এয়ার ডিফেন্স সিস্টেম গুঁড়িয়ে দেওয়ার দাবি করছে পাকিস্তান। কিন্তু এই দাবি যে সম্পূর্ণ মিথ্যা তা কয়েকটি ভিডিও দেখিয়ে এদিনের সাংবাদিক সম্মেলনে প্রমাণ করা হয়। দেখানো হয় ঘাঁটিগুলো সম্পূর্ণ অক্ষত রয়েছে। এনিয়ে বিক্রম মিসরি বলেন, "গোটা পরিস্থিতি নিয়ে প্রোপাগান্ডা করছে পাকিস্তান। ওরা দাবি করছে ভারতের বেশ কয়েকটি বায়ুসেনা ঘাঁটি উড়িয়ে দেওয়ার। ভারতের বিদ্যুৎ পরিকাঠামোয় সাইবার হামলা চালানোর। এই দাবিগুলো সম্পূর্ণ ভুয়ো। আফগানিস্তানে ভারতের মিসাইল পড়েছে বলে যে খবর ছড়াচ্ছে। এই তথ্যও মিথ্যা। কোন দেশ আফগানিস্তানে বার বার হামলা চালিয়ে এসেছে, তা আশা করি সেখানকার মানুষকে মনে করিয়ে দিতে হবে না।’’
প্রসঙ্গত, শনিবার ভোরে জম্মু ও কাশ্মীরের বিভিন্ন জায়গায় আক্রমণ চালায় পাকিস্তান। ভোর সাড়ে চারটে নাগাদ জম্মু শহরে বিরাট বিস্ফোরণের শব্দ শোনা যায়। এছাড়া ভোর থেকে জম্মু ও কাশ্মীরের উধমপুর, আখনুর, রাজৌরি, পুঞ্চ, পাঠানকোট-সহ একাধিক জায়গায় শোনা যায় বিস্ফোরণের শব্দ। ফলে পিছিয়ে দেওয়া হয় সেনাবাহিনীর সাংবাদিক বৈঠক। শুক্রবারও একইভাবে সাধারণ মানুষকে আক্রমণ করেছিল পাকিস্তান। ওই বর্বর হামলায় এক সরকারি আধিকারিক-সহ তিন জনের মৃত্যু ঘটেছে। রাজৌরির ও্যাডিশনাল ডিস্ট্রিক্ট কমিশনার রাজকুমার থাপার বাড়িতে একটি শেল এসে পড়ে। প্রথমে গুরুতর আহত হলেও পরে তাঁর মৃত্যু ঘটে। এই ঘটনার প্রেক্ষিতে জম্মু ও কাশ্মীরের মুখ্যমন্ত্রী ওমর আবদুল্লা শোকপ্রকাশ করেছেন।
