shono
Advertisement

দাম কমল চার বিরল রোগের ওষুধের, চিকিৎসার খরচ একলাফে হ্রাস ১০০ গুণ!

জেনে নিন কোন ওষুধের মূল্য কত কমল!
Posted: 10:31 AM Nov 25, 2023Updated: 10:31 AM Nov 25, 2023

সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: সরকারি সংস্থার সহযোগিতায় সাধারণ মানুষকে সুখবর দিল ভারতের ওষুধ সংস্থাগুলি। এক বছরের মধ্যে চারটি বিরল রোগের ওষুধ তৈরি করে চিকিৎসার খরচ ১০০ গুণ কমিয়ে দেওয়া সম্ভব হল। জানা গিয়েছে, যে রোগগুলি জিনগত এবং শিশুদের আক্রান্তদের হার বেশি, এই ওষুধ সাধারণত সেই রোগেই ব্যবহার করা হয়।

Advertisement

উদাহরণ স্বরূপ বলা যেতে পারে, টাইরোসিনেমিয়া (Tyrosinemia) টাইপ ১-এর চিকিৎসায় আগে যেখানে বছরে ২.২ কোটি থেকে ৬.৫ কোটি টাকা ব্যয় হত, এখন সেই খরচ একধাক্কায় কমে হবে আড়াই লক্ষ টাকা। সঠিক সময়ে এই রোগের চিকিৎসা না হলে শিশুর ১০ বছরের মধ্যে মারা যাওয়ার সম্ভাবনা থাকে। এই রোগের চিকিৎসায় ব্যবহৃত হয় ‘নিটিসিনোন’ নামের ওষুধ। অন্য তিনটি বিরল রোগ হল গাউচার’স ডিজিজ অর্থাৎ লিভার বা প্লীহা বড় হয়ে যাওয়া ও হাড়ের ব্যথা। উইলসন’স ডিজিজ, যে রোগে লিভারে তামা জমাট বাঁধে এবং মানসিক সমস্যা তৈরি হয়, এবং ড্রাভেট/লেনোক্স গ্যাস্টাট সিনড্রোম, যা জটিল খিঁচুনির সম্ভাবনা তৈরি করে।

[আরও পড়ুন: শেষ পর্যায়ে হঠাৎ বিপত্তি! উত্তরকাশীতে ফের থমকে গেল উদ্ধারকাজ, উদ্বিগ্ন মুখ্যমন্ত্রী]

গাউচার রোগের ওষুধ (Indian Medicines) এলিগলাস্ট্যাট ক্যাপসুলের পিছনে বছরে খরচ ১.৮-৩.৬ কোটি টাকা। তা কমিয়ে হচ্ছে ৩ লক্ষ ৬০ হাজার টাকা। একইরকম ভাবে ড্রাভেটের জন্য ক্যানাবিডিওল ওরাল সলিউশন দিয়ে বছরে ৭-৩৪ লক্ষ টাকা থেকে হ্রাস পেয়ে ১-৫ লক্ষ টাকায় নেমেছে। উইলসন’স ডিজিজের জন্য ট্রিয়েনটাইন ক্যাপসুলটি বছরে ২.২ কোটি টাকার পরিবর্তে হচ্ছে ২ লক্ষ ২০ হাজার টাকা।

প্রসঙ্গত, এদেশে সাড়ে আট থেকে ১০ কোটি রোগী বিরল রোগে আক্রান্ত। যার প্রায় ৮০ শতাংশই পূর্বসূরিদের থেকে এসেছে অর্থাৎ জিনগত। ফলে এর উপসর্গগুলি সহজে চিহ্নিত করা যায় এবং অল্প বয়সেই চিকিৎসার প্রয়োজন হয়। সরকারি সংস্থার সহযোগিতায় সেই চিকিৎসারই এবার অনেকখানি খরচ কমছে।

[আরও পড়ুন: নিহত অঞ্চল সভাপতির পরিবারের পাশে তৃণমূল, জয়নগর যাচ্ছেন ফিরহাদ হাকিম]

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ

Advertisement