shono
Advertisement

মার্কিন হুমকির পরোয়া না করেই রাশিয়া থেকে দ্বিগুণ পরিমাণ তেল আমদানি করছে ভারত

কিছুদিন পরে আরও কমতে পারে অশোধিত তেলের দাম।
Posted: 04:02 PM Apr 20, 2022Updated: 04:02 PM Apr 20, 2022

সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: রাশিয়া থেকে তেল আমদানি বাড়ানো হলে মোটেও খুশি হবে না তারা। ভারতে এসে এমনই হুঁশিয়ারি দিয়েছিলেন মার্কিন ডেপুটি ন্যাশনাল সিকিউরিটি অ্যাডভাইজার (USA) দলীপ সিং। সেই চোখ রাঙানিকে উপেক্ষা করেই এবার রাশিয়া থেকে প্রায় দ্বিগুণ পরিমাণ অশোধিত তেল আমদানি করার প্রক্রিয়া শুরু করেছে ভারত। সূত্র মারফত জানা গিয়েছে, রুশ তেল কিনতে ব্যক্তিগত উদ্যোগ নিচ্ছে ভারতের তৈল সংস্থাগুলি।

Advertisement

ভারতের তেল সংশোধনাগারের আধিকারিক এবং ব্যবসায়ীদের মতে, সরকারি দরপত্রের মাধ্যমে আমদানি করতে ইচ্ছুক নন তাঁরা। বেসরকারি ভাবে চুক্তি করলে কম দামে তেল পাওয়া যাবে, এমনটাই ধারণা বাণিজ্যিক মহলের। ইতিমধ্যেই রাশিয়ার (Russia) অধীনে থাকা উরালের থেকে অশোধিত তেল কিনেছে ভারত। ওপিইসি অর্থাৎ তেল ও পেট্রোপণ্য রপ্তানিকারী দেশগুলিকে পাশ কাটিয়ে এই তেল কেনা হচ্ছে। অনেক কম দামেই তেল কেনা হচ্ছে বলেই ধারণা আন্তর্জাতিক মহলে।

[আরও পড়ুন: করোনা কালে ওয়াইন পার্টি, এবার পার্লামেন্টে নিঃশর্ত ক্ষমা চাইলেন ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসন

বহুদিন ধরেই রাশিয়া থেকে বিভিন্ন পণ্য আমদানি করে ভারত। তার মধ্যে রয়েছে অশোধিত তেলও। যদিও মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন জানিয়েছেন, ভারতকে (India) প্রয়োজনমতো জ্বালানি রপ্তানি করতে পারে আমেরিকা। কিন্তু রাশিয়া থেকে কম দামে তেল পাওয়া অত্যন্ত সুবিধাজনক এবং লোভনীয়ও বটে। রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধের কারণে আন্তর্জাতিক বাজারে লাফিয়ে বেড়েছে তেলের দাম। এহেন পরিস্থিতিতে সস্তায় তেল কিনে নেওয়ার পক্ষপাতী ভারতীয় তেল শোধনাগারগুলি।

ফেব্রুয়ারি মাসে রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ শুরু হওয়ার পরে খোলা বাজার থেকে বেশ কয়েক লক্ষ ব্যারেল অশোধিত তেল (Crude Oil) কিনেছে ভারত। ব্যবসায়ী মহলের মতে, মধ্য প্রাচ্য থেকে তেল কেনা অতটা লাভজনক নয়। কারণ সেখানে ছোট জাহাজে করে তেল রপ্তানি করা হয় এবং অনেক বেশি সময় লাগে। ইউরোপের অধিকাংশ দেশগুলি রাশিয়ার উপর নিষেধাজ্ঞা চাপিয়েছে। ফলে রাশিয়ার তেল বিক্রির বাজার কমেছে। চিনে ফের কোভিডের প্রকোপ বাড়ার ফলে সেখানেও জ্বালানির দাবি আপাতত কমেছে। এমতাবস্থায় কিছুদিন পরে রাশিয়া তেলের দাম আরও কমিয়ে দেবে বলেই ধারণা বিশেষজ্ঞ মহলের। প্রসঙ্গত, ভারতের অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারমণ বলেছিলেন, জাতীয় স্বার্থ বজায় রাখতে যে কোনও পদক্ষেপ করা যেতে পারে। এরপরে তেল সংস্থাগুলির এই সিদ্ধান্তে পরিষ্কার, মার্কিন হুমকিতেও নিজের অবস্থানে অটল ভারত।

[আরও পড়ুন: নামটাই আছে, নেই শহর! মৃত্যুপুরী মারিওপোলে এবার তৈরি হচ্ছে মানবিক করিডর

 

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ

Advertisement