সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক যুদ্ধকালীন পরিস্থিতিতে গুজব, ভুয়ো ভিডিও ছড়ানো নতুন কথা না। অপারেশন সিঁদুর নিয়ে যেমন পাকিস্তান ও বাংলাদেশ থেকে বেশ কিছু মিথ্যা প্রচার চালানো হয়েছে সোশাল মিডিয়ায়। যদিও লাভ হয়নি তাতে। কারণ যে রাতে পাক অধিকৃত কাশ্মীর ও পাকিস্তানের মূল ভূখণ্ডে অভিযান চালাচ্ছিল ভারতীয় বায়ুসেনা, সেই রাত একটানা জেগে কাজ করছিলেন বিতর্কিত ফ্যাক্ট চেকার, সাংবাদিক মহম্মদ জুবের।
এক সময় সত্য সন্ধানের অপরাধে উগ্র হিন্দুত্ববাদীদের চক্ষুশূল হয়েছিলেন জুবের। ২০১৮ সালে ধর্মীয় ভাবাবেগে আঘাতের অভিযোগ তাঁকে গ্রেপ্তারও করেছিল দিল্লি পুলিশ। সেই জুবেরই এবার ভারত-পাক যুদ্ধের আবহে কুর্নিশ আদায় করলেন নেটিজেনদের। কারণ তিনি পাকিস্তানের বিভিন্ন প্রচারমূলক অ্যাকাউন্ট এবং হামিদ মীরের মতো সিনিয়র সাংবাদিকদের দ্বারা শেয়ার করা ভুল তথ্য ও ভিডিও প্রমাণ সহকারে খণ্ডন করেছেন।
সিএনএন-কে দেওয়া একটি সাক্ষাৎকারে খোদ পাকিস্তানের প্রতিরক্ষামন্ত্রী খাজা মহম্মদ আসিফ দাবি করেন, ভারতের হামলার জবাব দিয়েছে পাকিস্তান। জানান, ভারতের পাঁচটি যুদ্ধবিমান গুলি করে নামিয়েছে পাক সেনা। তার মধ্যে তিনটি রাফালে। তিনি সরাসরি বলেন, “ভারতীয় সোশাল মিডিয়াতেই যুদ্ধ বিমানগুলির ধ্বংসাবশেষের ছবি দেখা গিয়েছে।” সেই ছবি ও ভিডিওগুলি যে পুরনো, সেগুলিওকেই যে মঙ্গলবার রাতের বলে চালানোর চেষ্টা হয়, প্রমাণ করে দিয়েছেন 'সত্য সন্ধানী' জুবের। এই বিষয়ে বিতর্কিত সাংবাদিক বলেন, "শুরুতে ওরা মিথ্যে প্রচার চালিয়ে প্রশংসা কুড়োচ্ছিল। কিন্তু যখনই আমি ভুয়া খবর দেখি, তখনই ধর্ম এবং দেশের ঊর্ধ্বে আমি তা খণ্ডন করি।" অতএব, মিথ্যাচার চালিয়েও লাভ হচ্ছে না পাকিস্তানের।
