সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: বিমান পরিষেবা বিভ্রাটের জেরে এমনিতেই নানা সমস্যায় জর্জরিত ইন্ডিগো। এর মধ্যে এ বার কর-বিপাকেও জড়াল বিমান সংস্থা। জিএসটি অফিস থেকে এল ৫৮.৭৫ কোটি টাকার জরিমানার নোটিস!
জিএসটি অফিস থেকে আসা নোটিসের বিষয়টি শুক্রবারই শেয়ারবাজারকে জানিয়েছে ইন্ডিগো। তারা জানিয়েছে, গত ১১ ডিসেম্বর নোটিসটি পাঠিয়েছে কেন্দ্রীয় জিএসটি-র অতিরিক্ত কমিশনারের দপ্তর থেকে। নোটিসে বলা হয়েছে, ২০২০-'২১ অর্থবর্ষে বিমান সংস্থা যে কর জমা করেছিল, তাতে কিছু গরমিল ধরা পড়েছে। যদিও তা কর ফাঁকিই কি না, এখনও স্পষ্ট নয়।
যদিও ইন্ডিগো জানিয়েছে, তারা নোটিসটি পর্যালোচনা করে দেখছে। এ ব্যাপারে তারা প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ করবে। দরকারে আইনি পথেও হাঁটতে পারে বিমান সংস্থা। ইন্ডিগো এ-ও জানিয়েছে, তারা কর সংক্রান্ত নিয়ম মেনেই চলে। প্রয়োজনে আইনি পথে জরিমানার নোটিসকে চ্যালেঞ্জ করবে তারা।
ইন্ডিগোর বিপর্যয়ের জেরে বিমান যাত্রীদের ভোগান্তি অব্যাহত। এক সপ্তাহেরও বেশি সময় ধরেই তা চলছে। এ নিয়ে চাপেও রয়েছে বিমান সংস্থা। এই পরিস্থিতিতে ইন্ডিগোর বিরুদ্ধে কড়া পদক্ষেপ করা হতে পারে বলেও হুঁশিয়ারি দিয়ে রেখেছেন কেন্দ্রীয় অসামরিক বিমান পরিবহণ মন্ত্রী রামমোহন নায়ডু। পাশাপাশিই, ইন্ডিগোর কাজকর্মে নজরদারি চালানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে দেশের বিমান চলাচল নিয়ন্ত্রক কর্তৃপক্ষ ডিজিসিএ। এই জোড়া কাঁটায় বিদ্ধ বিমান সংস্থার চিন্তা বাড়াল কর-জরিমানার নোটিস।
প্রসঙ্গত, বিমান সংস্থার সদর দফতরে ঘাঁটিও গেড়েছেন ডিজিসিএ-র কর্তারা। ওই অফিসারেরা ইন্ডিগোর কর্মীদের ডিউটি-রস্টারের পাশাপাশি সংস্থাটি এখনও কত উড়ান বাতিল করছে, সময় মতো বাকি উড়ান চলছে কি না, যাত্রীদের টিকিটের ভাড়া ও জমা নেওয়া মালপত্র ঠিকমতো ফেরত দেওয়া হচ্ছে কি না, সে সবে নজর রাখবেন। তাঁদের দৈনিক রিপোর্টও পাঠাতে বলা হয়েছে বলে সূত্রের খবর। ইন্ডিগো-বিপর্যয়ের কারণ অনুসন্ধানে গড়া ডিজিসিএ-র চার সদস্যের প্যানেলের সামনে ইতিমধ্যেই হাজিরা দিয়েছেন ইন্ডিগোর সিইও। সাম্প্রতিক অব্যবস্থার পুঙ্খানুপুঙ্খ তথ্যসমৃদ্ধ রিপোর্ট চাওয়া হয়েছে তাঁর কাছে। সূত্রের মতে, ঘটনাপ্রবাহ যে তাঁদের ইচ্ছাকৃত ছিল না, কার্যত তারই প্রমাণ দেওয়ার দায় বর্তেছে সিইও-র উপরে।
