সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: গোষ্ঠী সংঘর্ষে আবার উত্তপ্ত অসমের (Assam) পশ্চিম কার্বি আংলং জেলা। উচ্ছেদ অভিযানকে কেন্দ্র করে হিংসার ঘটনায় সেখানে এখনও পর্যন্ত দু'জনের মৃত্যু হয়েছে। আহত হয়েছেন ৩৮ জন পুলিশ অফিসার-কর্মীও। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে এবং বিক্ষোভকারীদের ছত্রভঙ্গ করতে পুলিশ লাঠিচার্জ করে এবং কাঁদানে গ্যাসের শেল নিক্ষেপ করে। তাতে ৮ জন বিক্ষোভকারীও জখম হয়েছেন। এই পরিস্থিতিতে ওই জেলায় কার্ফু জারি হয়েছে। বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে মোবাইলের ইন্টারনেট পরিষেবাও। অসমের মুখ্যমন্ত্রী হিমন্ত বিশ্বশর্মা হিংসায় দু’জনের মৃত্যুতে শোকপ্রকাশ করেছেন। অতিরিক্ত বাহিনী মোতায়েনের করার কথাও জানিয়েছেন তিনি।
দীর্ঘদিন ধরেই জমির অধিকার নিয়ে লড়ছে কার্বি জনগোষ্ঠী। বহিরাগতেরা তাদের জমি দখল নিয়ে নিচ্ছে বলে অভিযোগ তুলে গত ১৬ দিন ধরে অনশন আন্দোলনও চালাচ্ছিল তারা। মঙ্গলবার অনশনরত এক আন্দোলনকারীকে হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়। তার পরেই নতুন করে উত্তেজনা ছড়ায় জেলায়। খবর ছড়িয়ে, পুলিশ নাকি কার্বি নেতা তুলে নিয়ে গিয়েছে! যদিও পুলিশ তা অস্বীকার করেছে। ডিজিপি হরমিত সিংহ বলেন, ‘‘মঙ্গলবার এই এলাকায় এক সঙ্গে অনেকে জড়ো হন। অনশনের কারণে এক বিক্ষোভকারীর শারীরিক অবস্থার অবনতি হয়। তাই তাঁকে হাসপাতালে নিয়ে যেতে হয়েছিল। কিন্তু খবর রটে যায় আমরা নাকি তাঁকে গ্রেফতার করেছি।’’
দিন কয়েক আগে রাজ্যের মন্ত্রী রনজ পেগু পশ্চিম কার্বি আংলং জেলার খেরোনিতে গিয়ে বিক্ষোভকারীদের সঙ্গে দেখা করেন। আগামী ২৬ ডিসেম্বর, শুক্রবার কার্বি আংলং স্বায়ত্তশাসিত কাউন্সিলের সঙ্গে বৈঠকে বসার কথা সরকারের। সমস্যা সমাধানের আশ্বাস দিয়েছিলেন মন্ত্রী। তবে তার পরেও মঙ্গলবার দিনভর ওই এলাকায় অশান্তি ছিল। খেরোনিতে দোকান এবং বাজারে আগুনও ধরিয়ে দেন বিক্ষোভকারীরা।
অসম পুলিশের আইজি (আইনশৃঙ্খলা) অখিলেশ কুমার সিং বলেন, "এলাকার শান্তি ফেরাতে প্রশাসন সব পক্ষের সঙ্গে কথা বলছে। এক মন্ত্রী এসে বিক্ষোভকারীদের সঙ্গে কথাও বলেছেন। কারও যদিও কোনও বিষয় নিয়ে অসুবিধা থাকে, তারা আইনি পথে হাঁটতে পারে। আইন নিজের হাতে তুলে নেওয়া উচিত নয়। এলাকায় বাড়তি বাহিনী মোতায়েন করা হয়েছে।"
