সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: লস্কর-ই-তইবাকে (Lashkar-E-Taiba) নিষিদ্ধ করল ইজরায়েল। মঙ্গলবার বিবৃতি জারি করে সেদেশের তরফে বলা হয়, শয়ে শয়ে ভারতীয়কে হত্যার নেপথ্যে রয়েছে এই মারাত্মক জঙ্গি সংগঠন। তাই লস্করকে নিষিদ্ধ জঙ্গি গোষ্ঠীর তালিকাভুক্ত করা হল। সেই সঙ্গে তেল আভিভের বার্তা, সন্ত্রাসদমনে একজোট হতে হবে গোটা বিশ্বকে। উল্লেখ্য, গাজায় হামাসের বিরুদ্ধে অভিযান চালাচ্ছে ইজরায়েল। এহেন পরিস্থিতিতে ভারত নিযুক্ত ইজরায়েলের (Israel) রাষ্ট্রদূত আবেদন করেছিলেন, হামাসকে নিষিদ্ধ করুক নয়াদিল্লি। তার পরেই বেঞ্জামিন নেতানিয়াহুর প্রশাসনের এই পদক্ষেপ।
মঙ্গলবার ভারতের (India) ইজরায়েলি দূতাবাস থেকে বিবৃতি দিয়ে লস্করকে নিষিদ্ধ করার খবর জানানো হয়। মুম্বইতে ভয়াবহ জঙ্গি হামলার ১৫তম বর্ষপূর্তির আগেই এই পদক্ষেপ ভারতের ‘বন্ধু’ ইজরায়েলের। বিবৃতিতে বলা হয়, “ইজরায়েলের প্রতিরক্ষা ও বিদেশ মন্ত্রীরা যৌথভাবে কাজ করেছেন, যেন দ্রুত লস্করকে নিষিদ্ধ তালিকাভুক্ত করা যায়। আন্তর্জাতিক ক্ষেত্রে সন্ত্রাসবাদের মোকাবিলা করতে সকলের একজোট হওয়া দরকার, এই বিষয়টিও তুলে ধরতে চায় ইজরায়েল।”
[আরও পড়ুন: দেশে মুসলমান মেরে গাজা নিয়ে মুসলিম নেতাদের সঙ্গে ‘কুম্ভীরাশ্রু’, কী বিচিত্র এই চিন!]
২৬/১১ হামলার কথাও আলাদাভাবে উল্লেখ করা হয় বিবৃতিতে। বলা হয়েছে, “লস্কর-ই- তইবা মারাত্মক জঙ্গি সংগঠন। শয়ে শয়ে ভারতীয়কে হত্যার নেপথ্যে রয়েছে তারা। ২০০৮ সালের ২৬ নভেম্বর তাদের ঘৃণ্য হামলা এখনও সকলের স্মৃতিতে টাটকা।” মুম্বই হামলায় নিহতদের পরিবারের প্রতি সমবেদনাও জানিয়েছে ইজরায়েল।
নেতানিয়াহুর এই পদক্ষেপের পর কূটনীতিকদের অনুমান, এবার আলোচনা হতে পারে হামাস (Hamas) প্রসঙ্গে ভারতের অবস্থান নিয়ে। গাজায় ইজরায়েল-হামাস সংঘর্ষ শুরু হওয়ার পরেই ভারতে নিযুক্ত ইজরায়েলের রাষ্ট্রদূত আবেদন জানান, এবার হামাসকে নিষিদ্ধ তকমা দিক নয়াদিল্লি। হামাসের হামলার নিন্দা করলেও নিষিদ্ধ করার প্রসঙ্গে এখনও কোনও পদক্ষেপ করেনি ভারত। তবে ইজরায়েলের বিবৃতির পরে এই বিষয়টি নিয়ে ভারত ভেবে দেখবে কিনা, সেদিকে নজর থাকবে ওয়াকিবহাল মহলের।