সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: ফের রক্তাক্ত জম্মু ও কাশ্মীর (Jammu and Kashmir)। শুক্রবার সেনাবাহিনীর সঙ্গে জঙ্গিদের সংঘর্ষে নিহত হয়েছে হিজবুল মুজাহিদিনের দুই জেহাদি। আফগানিস্তানে তালিবানের সাম্রাজ্য কায়েম হওয়ার পর থকেই কাশ্মীর উপত্যকায় সন্ত্রাসবাদী কার্যকলাপ বৃদ্ধির আশঙ্কায় নজরদারি আরও কড়া করেছে ভারতীয় ফৌজ (Indian Army)।
[আরও পড়ুন: NDA পরীক্ষায় বসবে মেয়েরাও, সেনার মনোভাবকে কটাক্ষ করে নির্দেশ সুপ্রিম কোর্টের]
সংবাদ সংস্থা এএনআই সূত্রে খবর, পুলওয়ামা জেলার অবন্তীপোরায় সেনার সঙ্গে সংঘর্ষে নিকেশ হয়েছে দুই জঙ্গি। ঘটনাস্থল থেকে বেশ কিছু হাতিয়ার উদ্ধার করা হয়েছে বলেও খবর। পামপোর এলাকায় জঙ্গিদের গোপন ডেরার সন্ধান পান গোয়েন্দারা। তারপরই দ্রুত ওই এলাকা ঘিরে ফেলে সেনা, আধাসেনা ও কাশ্মীর পুলিশের একটি যৌথবাহিনী। জওয়ানদের উপস্থিতির কথা জানতে পেরে গুলি চালাতে শুরু করে জঙ্গিরা। বেশ কিছুক্ষণ ধরে চলা গুলির লড়াইয়ের পর অবশেষে নিকেশ হয় দুই জেহাদি।
কয়েকদিন আগেই পুলওয়ামায় সেনার সঙ্গে এনকাউন্টারে নিহত হয় জইশ-ই-মহম্মদের কুখ্যাত জঙ্গি মহম্মদ ইসমাইল আলভি ওরফে লম্বু। বলে রাখা ভাল, কাশ্মীরে ৩৭০ ধারা রদ হওয়ার পর থেকেই সেখানে সন্ত্রাস ছড়ানোর মরিয়া চেষ্টা করছে পাকিস্তান। ভারতীয় সেনার ভয়ে সরাসরি সংঘাতে না গিয়ে জঙ্গিদের মদতে ছায়াযুদ্ধ চালাচ্ছে পড়শি দেশ পাকিস্তান (Pakistan)। এহেন পরিস্থিতিতে ভারতও সন্ত্রাস দমনে সেনা অভিযান বাড়িয়ে দিয়েছে।
গত জুন মাসেই কাশ্মীরে লস্করের কমান্ডার নাদিম আবরার-সহ দুই জঙ্গিকে নিকেশ করে সেনাবাহিনী। কাশ্মীর উপত্যকায় নিরাপত্তা বাহিনীর উপর হামলা ও হত্যার একাধিক ঘটনায় জড়িত ছিল সে। তার আগে গত মে মাসে কেন্দ্রশাসিত প্রদেশটির অনন্তনাগ জেলার কোকেরনাগ এলাকায় নিরাপত্তারক্ষীদের সঙ্গে সংঘর্ষ হয় সন্ত্রাসবাদীদের। ওই সংঘর্ষে তিন জঙ্গি নিহত হয়। সব মিলিয়ে কাশ্মীর উপত্যকায় লস্করের কোমর ভেঙে সন্ত্রাসের শিকড় উপড়ে ফেলতে বদ্ধপরিকর ভারতীয় সেনাবাহিনী।
এদিকে, আফগানিস্তানের ক্ষমতা তালিবানের হাতে চলে যাওয়ার পর থেকেই কাশ্মীর নিয়ে উদ্বিগ্ন ভারত। প্রতিরক্ষা মহলের আশঙ্কা, এবার হাক্কানি নেটওয়ার্ক, জইশ-ই-মহম্মদ ও লস্করের মতো জঙ্গি সংগঠনগুলিকে এবার কাশ্মীরে আরও বেশি করে সক্রিয় করে তুলবে পাকিস্তানের কুখ্যাত গোয়েন্দা সংস্থা আইএসআই।