সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: ছেলে গিয়েছেন মহাকুম্ভে। পুণ্য করতে। সপরিবারে। কিন্তু বাড়িতেই রেখে গিয়েছেন মাকে। দরজায় তালা দিয়ে। খিদের জ্বালায় শেষে বৃদ্ধার আর্ত চিৎকারে টনক নড়ে প্রতিবেশীদের। শেষে তাঁরাই তালা ভেঙে উদ্ধার করলেন বৃদ্ধাকে। এমনটাই অভিযোগ ঝাড়খণ্ডের এক যুবকের বিরুদ্ধে। এলাকায় চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে।
জানা যাচ্ছে, ঝাড়খণ্ডের রামগড়ের বাসিন্দা ওই ব্যক্তি তাঁর মা সঞ্জু দেবীকে ঘরেই বন্দি করে রেখে মহাকুম্ভে যান। সঙ্গে ছিলেন তাঁর স্ত্রী, শ্বশুরবাড়ির সদস্যরা। অল্প খাবার দাবার যা রেখে গিয়েছিলেন, তা কদিনে পরেই ফুরিয়ে যায়। শেষে খিদের জ্বালায় তিনি চিৎকার করতে থাকেন। শেষে প্রতিবেশীরাই খবর দেন তাঁর ভাই, ভাইপো, মেয়েকে। সকলে মিলে তালা ভেঙে উদ্ধার করেন সঞ্জু দেবীকে। ৬৫ বছরের বৃদ্ধা জানিয়েছেন, খিদের চোটে তিনি প্লাস্টিক খাওয়ারও চেষ্টা করেছিলেন। অবস্থা হয়েছিল পাগল পাগল।
এপ্রসঙ্গে বলতে গিয়ে রামগড় থানার পুলিশ অফিসার কৃষ্ণ কুমার জানিয়েছেন, ''আমরা একটি অমানবিক ঘটনার সাক্ষী হয়েছিল। ওই মহিলার মেয়ে তালা ভেঙে তাঁকে উদ্ধার করেছেন। তাঁকে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়েছে। তিনি সেখানেই চিকিৎসাধীন রয়েছেন। আমরা শিগগির ওই পরিবারটির বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের করব।''
ইতিমধ্যেই পুলিশ যোগাযোগ করেছে 'গুণধর' পুত্রের সঙ্গে। তাঁর দাবি, তিনি মাকে জানিয়েই কুম্ভে গিয়েছেন। এবং যথেষ্ট খাবার সেখানে রেখেই গিয়েছিলেন। যদিও এই দাবি নস্যাৎ করে দিচ্ছেন সঞ্জু দেবী। বৃদ্ধার মেয়ে দাবি করেছেন, আর দাদার কাছে থাকতে দেবেন না মাকে। এবার তিনিই নিয়ে যাবেন তাঁকে।
