সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: ২২ বছর বয়সি এক নার্স হত্যার ঘটনাকে কেন্দ্র করে উত্তাল কর্নাটকের হাভেরি জেলা। এই ঘটনায় লাভ জিহাদের অভিযোগ তুলে সরব হল গেরুয়া শিবির। ঘটনার তদন্তে নেমে সন্দেহভাজন তিন জনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। সম্পর্কের টানাপোড়েনের জেরেই এই হত্যাকাণ্ড বলে অনুমান পুলিশের।
পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, গত ৩ মার্চ নিখোঁজ হন ২২ বছর বয়সি নার্স স্বাতী ব্যাদগী। এরপর গত ৬ মার্চ রানেবেন্নুর এলাকার ফতেপুর গ্রামে তুঙ্গভদ্রা নদীতে উদ্ধার হয় তাঁর মৃতদেহ। ওই যুবতী হাভেরি জেলার রাত্তেহল্লির মসুরু গ্রামের বাসিন্দা ছিলেন। দেহ ময়নাতদন্তের পর জানা যায় কে বা কারা খুন করেছে স্বাতীকে। তদন্তে নেমে নওয়াজ নামে এক যুবককে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। তদন্তকারীদের তরফে জানা যাচ্ছে, অভিযুক্ত নওয়াজের সঙ্গে দীর্ঘদিন ধরে সম্পর্ক ছিল স্বাতীর। তাঁকে বিয়ের প্রতিশ্রুতিও দিয়েছিল অভিযুক্ত। তবে নিজের সম্প্রদায়ের অন্য এক যুবতীর সঙ্গে নওয়াজের বিয়ে ঠিক হওয়ায় স্বাতীর সঙ্গে দূরত্ব বাড়ায় অভিযুক্ত।
এদিকে পালটা নওয়াজকে হুমকি দেয় স্বাতী। জানায়, যদি নওয়াজ অন্য কাউকে বিয়ে করে তাহলে তাঁদের সম্পর্কের কথা নওয়াজের পরিবারের কাছে ফাঁস করে দেবে। এর পরই স্বাতীকে খুনের ষড়যন্ত্র করে নওয়াজ। ঘটনার তদন্তে নেমে দুর্গাচারী ও বিনায়ক নামে আরও দুই অভিযুক্তকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। পুলিশের তরফে জানানো হয়েছে, দুর্গাচারী ও বিনায়ক এই দুজন মিলে স্বাতীকে মিথ্যে কথা বলে তুঙ্গভদ্রা নদীর কাছে নিয়ে যায়। সেখানে তিনজন মিলে হত্যা করে স্বাতীকে।
এই ঘটনায় বিজেপি নেতা বাসবরাজ বোম্বাই বলেন, "রাজ্যে কংগ্রেসের শাসন শুরু হওয়ার পর থেকে লাভ জেহাদের ঘটনা ব্যাপকভাবে বেড়ে গিয়েছে। অপরাধীরা পুলিশকে ভয় করছে না। অপরাধীদের কড়া শাস্তি নিশ্চিত না করলে এই ঘটনায় লাগাম টানা যাবে না। বিজেপির তরফে দাবি করা হয়েছে, এই ঘটনায় স্বাতীর পরিবারকে অর্থিক সাহায্য দেওয়া উচিত সরকারের। এই কংগ্রেসের সরকারে রাজ্যের মহিলারা নিরাপদ নয় বলে অভিযোগ তুলেছে বিজেপি।
