shono
Advertisement

শুধু মন্দিরই দেবে কর! কংগ্রেসের কর্নাটকে ‘হিন্দু বিরোধী’ বিল আটকে দিল বিজেপি

গত বুধবার বিধানসভায় পাশ হয় ‘হিন্দু রিলিজিয়াস ইনস্টিটিউশনস অ্যান্ড চ্যারিটেবল এন্ডোমেন্ট বিল’।
Posted: 10:16 AM Feb 24, 2024Updated: 10:16 AM Feb 24, 2024

সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: সিদ্দারামাইয়া সরকারকে জোর ধাক্কা। কর্নাটকের বিধান পরিষদে আটকে গেল বিতর্কিত মন্দির বিল। শুক্রবার সদনের উচ্চকক্ষে ভোটাভুটিতে শাসকদল কংগ্রেসকে কুপোকাত করে শেষ হাসি হাসে বিজেপি।

Advertisement

গত বুধবার বিধানসভায় পাশ হয় ‘হিন্দু রিলিজিয়াস ইনস্টিটিউশনস অ্যান্ড চ্যারিটেবল এন্ডোমেন্ট বিল’। এতে বলা হয়, রাজ্যের যে সব মন্দিরে বছরে কোটি টাকা বা তার বেশি আয়, তাদেরকে ১০ শতাংশ কর দিতে হবে। শুরু হয় তুমুল বিতর্ক। রাজ্যের প্রধান বিরোধী দল বিজেপি দাবি করে, এই বিল হিন্দু বিরোধী। এক্স হ্যান্ডেলে কড়া পোস্ট করেন কর্নাটকের বিজেপি সভাপতি বিজয়েন্দ্র ইয়েদুরাপ্পা। লেখেন, কংগ্রেস সরকার এই বিলের মাধ্যমে তাদের “শূন্য কোষাগার” পূরণ করার চেষ্টা করছে।

[আরও পড়ুন: ‘যাঁর নিজেরই তাল নেই…’, উত্তরপ্রদেশের যুবাদের ‘মাতাল’ বলে মোদির তোপের মুখে রাহুল]

বিজয়েন্দ্রের আরও প্রশ্ন, কেবল হিন্দু মন্দির থেকেই রাজস্ব সংগ্রহ করা হবে কেন? অন্য ধর্মীয়স্থানগুলি বাদ যাবে কোন যুক্তিতে? ধর্মীয় পক্ষপাতিত্বের অভিযোগ এনেছেন গেরুয়া নেতা। যদিও কর্ণাটকের পরিবহণমন্ত্রী ও কংগ্রেস নেতা রামালিঙ্গা রেড্ডি বিজেপির অভিযোগ উড়িয়ে দিয়েছেন। তিনি বলেন, ওই করের অর্থ সরকার নেবে না। বরং ‘ধর্মীয় পরিষদে’র কাজেই ব্যবহার করা হবে।

বলে রাখা ভালো, কর্নাটকের সদন দ্বিকক্ষ বিশিষ্ট। ফলে বিধানসভায় কোন বিল পাশ হলেও উচ্চকক্ষ বিধান পরিষদের সম্মতি ছাড়া তা আইনে পরিণত হয় না। আর এখানেই বিপাকে পড়েছেন মুখ্যমন্ত্রী সিদ্দারামাইয়া। ৭৫ সদস্যের বিধান পরিষদ বিজেপির দখলে। গেরুয়া শিবিরের রয়েছে ৩৫ জন সদস্য। কংগ্রেসের ২৯ ও জেডিএসের ৮ সদস্য। ফলে মন্দির বিল পেশ করা হলে ভোটাভুটিতে শাসকদল কংগ্রেসকে কুপোকাত করে শেষ হাসি হাসে বিজেপি। বিশ্লেষকদের মতে, সরকার চাইলে ফের বিলটি বিধানসভায় নতুন করে আনতে পারে সরকার। তবে লোকসভার দামামা বেজে যাওয়ায় আপাতত তা ঠান্ডাঘরেই পাঠিয়ে দেওয়ার সম্ভাবনা বেশি।

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ

Advertisement