shono
Advertisement
Karnataka

মদ্যপ স্বামীর অত্যাচারে অতিষ্ঠ, মাথা থেঁতলে দেহ দু'টুকরো করে কুয়োয় ফেললেন স্ত্রী!

খুনের দুদিনের পর কুয়ো থেকে দেহ উদ্ধার হয়।
Published By: Subhankar PatraPosted: 07:20 PM Jan 03, 2025Updated: 08:52 PM Jan 03, 2025

সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: দীর্ঘ দিন ধরে মদ খেয়ে শারীরিক নিগ্রহ করতেন স্বামী! এমনকী স্ত্রীর জমি বিক্রি করে মোটরবাইক কেনার জন্য তাঁকে চাপ দিচ্ছিলেন। সেই অত্যাচারে সহ্য করতে না পেরে স্বামীকে পাথর দিয়ে থেঁতলে খুনের পর দেহ টুকরো করে কুয়োয় ফেলে দেওয়ার অভিযোগ উঠল স্ত্রীর বিরুদ্ধে। বীভৎস ঘটনাটি ঘটেছে কর্ণাটকের (Karnataka) বেলাগাভি জেলার উমারানি গ্রামে। স্ত্রীকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।

Advertisement

গত ১০ ডিসেম্বর, শ্রীমন্ত ইতনালি নামের ৪০ বছর বয়সি যুবকের দু টুকরো দেহ উদ্ধার হয়  একটি কুয়ো থেকে। ডেপুটি এসপির নেতৃত্বে তিন সদস্যের একটি দল গঠন করে তদন্ত শুরু করে পুলিশ। মৃতের স্ত্রী সাবিত্রীকে একাধিকবার জেরা করেন তাঁরা। পুলিশের দাবি, প্রথমে নিজেকে বাঁচানোর জন্য তদন্তকারীদের বিপথে চালনা করেন তিনি। পরে পুলিশি জেরার মুখে খুনের কথা স্বীকার করে নেন বলে জানিয়েছে পুলিশ।

পুলিশের অনুমান, ঘটনাটি ঘটে ৮ ডিসেম্বর রাতে। সেদিন রাতে সীমন্ত নেশা করে বাড়ি ফেরার পর স্ত্রীকে মারধর করেন। ফের জমি বিক্রি করার জন্য চাপ দেন। না মানায় চলে শারীরিক নিগ্রহ। পরে তিনি ঘুমিয়ে পড়লে সাবিত্রী তাঁর গলা টিপে ধরেন। সীমন্ত অজ্ঞান হয়ে পড়লে পাথর দিয়ে মাথা থেঁতলে তাঁকে খুন করে স্ত্রী। পরে দেহ লোপাট করতে দুই টুকরো করে বাড়ির কাছের কুয়োতে ফেলে দেন।

পুলিশ ক্রাইম সিন থেকে একাধিক প্রমাণ সংগ্রহ করেন। সাবিত্রীর উপর সন্দেহ বাড়তে থাকায় তাঁকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়। পুলিশের দাবি, লাগাতার জিজ্ঞাসাবাদে ভেঙে পড়ে অভিযুক্ত জানায় অত্যাচার সহ্য করতে না পেরে রাগের মাথায় এই কাণ্ড ঘটিয়েছেন তিনি।পুলিশ জানিয়েছে, "অভিযুক্তকে হেফাজতে নেওয়া হয়েছে। তদন্ত চলছে।"

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ

হাইলাইটস

Highlights Heading
  • দীর্ঘ দিন ধরে মদ খেয়ে শারীরিক নিগ্রহ করতেন স্বামী!
  • এমনকী স্ত্রীর জমি বিক্রি করে মটরবাইক কেনার জন্য তাঁকে চাপ দিচ্ছিলেন।
  • সেই অত্যাচারে সহ্য করতে না পেরে স্বামীকে পাথর দিয়ে থেঁতলে খুনের পর দেহ টুকরো করে কুয়োয় ফেলে দেওয়ার অভিযোগ উঠল স্ত্রীর বিরুদ্ধে।
Advertisement