সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: মৃত্যুর সঙ্গে পাঞ্জা লড়ে শেষমেশ হার মানলেন ১০৬ বছরের কুনওয়ার বাঈ৷ যিনি পরিচিত ছিলেন স্বচ্ছ ভারতের ম্যাসকট হিসেবেই৷ যাঁর পা ছুঁয়ে প্রণাম করেছিলেন স্বয়ং প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি৷ বয়সজনিত অসুস্থতা থাবা বসিয়েছিল শরীরে। শুক্রবার সকাল ১০টা ৪০ মিনিট নাগাদ শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করলেন তিনি৷
[প্রেম প্রস্তাব ফেরানোয় স্কুলের সামনেই ছাত্রীর মুণ্ডচ্ছেদ করল যুবক]
গত ১৯ ফেব্রুয়ারি মারাত্মক অসুস্থ হয়ে পড়েছিলেন তিনি বলে জানা গিয়েছিল৷ তাঁকে ভরতি করা হয় ধমতরী জেলা হাসপাতালে৷ প্রবল শ্বাসকষ্টে ভুগছিলেন৷ প্রচণ্ড সুগারের কারণে বাড়ছিল জটিলতা৷ মস্তিষ্কও ঠিকঠাক কাজ করছিল না৷ অনেকটা যেন কোমাতেই চলে গিয়েছিলেন কুনওয়ার বাঈ৷ গত কয়েকদিন ধরে সঠিকভাবে খাওয়া-দাওয়াও করতে পারছিলেন না৷ ফলত চিকিৎসকরাও বাঁচার ক্ষীণ আশা দেখছিলেন৷ রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে কথা বলার ইচ্ছে ছিল শতায়ু পার হওয়া যুবতীর৷ দিল্লি থেকে ভিডিওতে রমন সিং তাঁর সঙ্গে কথা বলার চেষ্টাও করেন৷ কিন্তু কোনওরকম কথা বলার অবস্থাতেই ছিলেন না তিনি৷ তাঁর হয়ে মেয়ে ও পরিবারের অন্যান্য সদস্যরাই মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে কথা বলেছেন৷
[ফাঁকা আসনে কে যেন বসে! ভূতের ভয়ে কাঁটা বিধায়করা]
ছত্তিশগড়ের বাসিন্দা কুনওয়ার বাঈ নিজের পোষা প্রায় গোটা দশেক ছাগল বিক্রি করে দিয়েছিলেন শুধুমাত্র বাড়িতে শৌচাগার বানাবেন বলে৷ নিজের ঘরে দুটি শৌচাগার বানিয়েছিলেন৷ শুধু এ কাজ করেই ক্ষান্ত হননি, গ্রামের সকলকে সেই শৌচাগার দেখিয়ে পরিবেশ স্বচ্ছ রাখতে উদ্বুদ্ধও করেছিলেন বৃদ্ধা৷ বৃদ্ধার সেই প্রয়াসকে সম্মান জানিয়ে ছত্তিশগড়ে এক সম্মেলন চলাকালীন তাঁকে সংবর্ধনা দিয়ে প্রণাম করেছিলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি৷ ২০১৬সালে তাঁকেই স্বচ্ছ ভারত অভিযানের ম্যাসকট হিসেবে বেছে নেওয়া হয়৷ স্বচ্ছতা নিয়ে লাগাতার প্রচারের মধ্যেও যখন দিকে দিকে নিয়মভঙ্গের ছড়াছড়ি, তখন ওই বৃদ্ধাই যেন সকলের চোখ খুলে দিয়েছিলেন৷ সদিচ্ছার কাছে দারিদ্র যে প্রতিবন্ধক নয়, সারা দেশের কাছে সেই নমুনা তুলে ধরেছিলেন৷ তিনি সশরীরে না থাকলেও এ দেশের বুকে অসম্ভবকে সম্ভব করার দৃষ্টান্ত রেখে গেলেন৷ তাঁর কাজই স্বচ্ছ ভারত গড়ে তুলতে অনুপ্রেরণা জোগাবে বাকিদের৷ এমনটাই আশা তাঁর পরিবারের৷
The post মৃত্যুর সঙ্গে পাঞ্জা লড়ে হার মানলেন স্বচ্ছ ভারতের ‘ম্যাসকট’ কুনওয়ার বাঈ appeared first on Sangbad Pratidin.