সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: কেন্দ্রীয় আইনমন্ত্রীর নিশানায় বাংলার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (Mamata Banerjee)। কিরণ রিজিজুর খোঁচা, বিচারবিভাগের প্রতি তৃণমূলের শ্রদ্ধা নেই। বিচারপতিদেরও সম্মান দেখাতে জানে না ওরা। আইনের শাসনের বদলে বাংলায় তৃণমূলের আইনের শাসন চলছে। রবিবারই দেশের প্রধান বিচারপতির সামনে নাম না করে কেন্দ্রীয় সরকারের বিরুদ্ধে আক্রমণ শানিয়ে মমতা বলেছিলেন, “দেশ রাষ্ট্রপতি শাসনের দিকে এগোচ্ছে। গণতন্ত্র, যুক্তরাষ্ট্রীয় পরিকাঠামোকে একমাত্র রক্ষা করতে পারে বিচারব্যবস্থা।” এরপরই তৃণমূল সুপ্রিমোর বিরুদ্ধে খড়গহস্ত হন কেন্দ্রীয় আইনমন্ত্রী।
রবিবার রাতেই কিরণ রিজিজু (Kiran Rijiju) টুইট করেন। লেখেন, “বাংলা সম্পর্কে মমতা দিদি ঠিকই বলছেন। কারণ বিচারব্যবস্থার প্রতি তৃণমূল দলটির শ্রদ্ধা খুবই সামান্য। বিচারপতিদের
সম্মান করে না।” কেন্দ্রীয় আইনমন্ত্রী আরও অভিযোগ করেন, “বাংলায় আইনের শাসনকে সরিয়ে জায়গা করে নিয়েছে তৃণমূলের (TMC) শাসন। গণতন্ত্র রক্তাক্ত। বাংলায় গণতন্ত্র কাঁদছে।” স্বাভাবিকভাবেই তাঁর এহেন মন্তব্যে শুরু হয়েছে রাজনৈতিক চাপানউতোর।
[আরও পড়ুন: TET-এ প্রশ্ন ভুল: বয়স পেরলেও চাকরিপ্রার্থীর ইন্টারভিউ নিতে হবে, নির্দেশ বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়ের]
প্রসঙ্গত, রবিবার ওয়েস্ট বেঙ্গল ন্যাশনাল ইউনিভার্সিটি অফ জিউরিডিক্যাল সায়েন্সেস-এর ১৪তম সমাবর্তনে যোগ দিয়েছিলেন মুখ্যমন্ত্রী। সেখানেই উপস্থিত ছিলেন প্রধান বিচারপতি উদয় উমেশ ললিত, বাংলাদেশের প্রধান বিচারপতি হাসান ফয়েজ সিদ্দিকী, কলকাতা হাই কোর্টের প্রধান বিচারপতি প্রকাশ শ্রীবাস্তব-সহ বহু বিশিষ্ট জন। তাঁদের সামনেই মুখ্যমন্ত্রীর অভিযোগ করেন, “একদল মানুষ গণতান্ত্রিক কাঠামোকে কুক্ষিগত করার চেষ্টা করছে। পরিস্থিতি খারাপ থেকে খারাপ হচ্ছে। দেশ ক্রমশ রাষ্ট্রপতি শাসনের দিকে যাচ্ছে।” বলেছিলেন, “মানুষ বন্ধ দরজার পিছনে কাঁদছে।”
বিচারব্যবস্থাই দেশ, যুক্তরাষ্ট্রীয় পরিকাঠামো, গণতন্ত্রকে বাঁচাতে পারে বলেই তাঁর বিশ্বাস, জানাচ্ছেন মুখ্যমন্ত্রী। নাম না করে মোদি সরকার তথা বিজেপির দিকেই আঙুল তোলেন মুখ্যমন্ত্রী। এবার পালটা রাজ্যের শাসকদল তৃণমূলকে বিঁধলেন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী।