shono
Advertisement

‘সুপ্রিম কোর্টের অমূল্য সময় নষ্ট হবে’, বিবিসির তথ্যচিত্র সম্প্রচার মামলায় মন্তব্য রিজিজুর

শীর্ষ আদালতে মোদি-তথ্যচিত্র মামলার দ্রুত শুনানির দাবি উঠেছে।
Posted: 06:09 PM Jan 30, 2023Updated: 06:19 PM Jan 30, 2023

সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: ‘ইন্ডিয়া-দি মোদি কোয়েশ্চেন’ (India: The Modi Question) তথ্যচিত্র নিয়ে সরগরম দেশ। ইতিমধ্যে জরুরি নির্দেশিকা জারি করে দেশের যাবতীয় সমাজমাধ্যম থেকে বিবিসির (BBC) ‘বিতর্কিত’ তথ্যচিত্র সরিয়ে দিয়েছে কেন্দ্র। যার পর বিজেপি সরকারের এই সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে সুপ্রিম কোর্টে (Supreme Court) মামলা হয়েছে। মামলা করেছেন তৃণমূল সাংসদ মহুয়া মৈত্র (Mahua Moitra) এবং আইনজীবী প্রশান্ত ভূষণ। যা নিয়ে এদিন কেন্দ্রীয় আইনমন্ত্রী কিরেন রিজিজু (Kiren Rijiju) মন্তব্য করলেন, “সুপ্রিম কোর্টের অমূল্য সময় নষ্ট হচ্ছে”। রিজিজু এমন মন্তব্য করলেও শীর্ষ আদালত সূত্রে জানা গিয়েছে, আগামী সোমবার এই মামলার শুনানি হবে। বিরোধীদের বক্তব্য, কেন্দ্রের সিদ্ধান্তের পাশে দাঁড়াতে গিয়ে শীর্ষ আদালতে যোগ্যতা নিয়েও প্রশ্ন তুলছেন খোদ আইনমন্ত্রী।

Advertisement

এদিকে আইনজীবী এমএল শর্মা কেন্দ্রের সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে শীর্ষ আদালতকে পদক্ষেপ করার আর্জি জানিয়ে বলেন, তথ্যচিত্রটির উপরে নিষেধাজ্ঞা জারি করার এই সিদ্ধান্ত ‘স্বেচ্ছাচারিতা’ এবং ‘অসাংবিধানিক’। মামলাটির দ্রুত শুনানিরও আরজি জানান তিনি। সুপ্রিম কোর্টে সূত্রে জানা গিয়েছে, আগামী সোমবার মামলাটি শুনবে প্রধান বিচারপতি ডিওয়াই চন্দ্রচূড়, বিচারপতি পিএস নরসীমহা এবং বিচারপতি জেবি পরদিওয়ালার বেঞ্চ। বিতর্কিত তথ্যচিত্র নিয়ে মামলায় কেন্দ্রের বিরুদ্ধে অভিযোগ আনা হয়েছে, দেশের বহু বিশিষ্ট মানুষ তথ্যচিত্রটি সমাজমাধ্যমে শেয়ার করার পরে তা তুলে নেওয়া হয়েছে। তথ্যপ্রযুক্তি আইনের জরুরি ক্ষমতা প্রয়োগ করে সমস্ত সমাজমাধ্যম থেকে সরিয়ে নেওয়া হয়েছে। তথ্যচিত্রটি দেখাতে গিয়ে বাধার মুখে পড়েছেন দেশের বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ের পড়ুয়ারা। প্রশ্ন হল, বিবিসির তথ্যচিত্র নিয়ে মোদি সরকারের এত আপত্তি কেন?

[আরও পড়ুন: শেষ মুহূর্তে বাম-কংগ্রেস জোট ঘিরে তুমুল জটিলতা, ধুমধাম করে মনোনয়ন জমা TMC প্রার্থীদের]

তথ্যচিত্রের নাম ‘ইন্ডিয়া-দি মোদি কোয়েশ্চেন’। দু’দশক আগে গুজরাটের তৎকালীন মুখ্যমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির (Narendra Modi) জমানায় গোধরা-কাণ্ড এবং তার পরবর্তী সাম্প্রদায়িক হিংসার কথা তুলে ধরা হয়েছে এক ঘণ্টার তথ্যচিত্রে। প্রথম থেকেই মোদি সরকারের দাবি, ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যমের এই ডকু ফিচারটি আসলে ভারত বিরোধী এবং ভারতকে বদনাম করার চেষ্টা। এই নিয়ে ঘুরিয়ে মুখ খোলেন খোদ মোদিও। শনিবার এনসিসির সমাবেশে তিনি বলেন, ”দেশটাকে ভেঙে দেওয়ার বাহানা খুঁজছে ওরা। ছোট ছোট ইস্যু খুঁজে বের করে ভারত মাতার সন্তানদের মধ্যে শত্রুতা বাড়ানোর চেষ্টা হচ্ছে।”

[আরও পড়ুন: সত্তরের বিধবাকে অপহরণ করে ধর্ষণ! অভিযুক্ত ২৩ বছরের অটোচালক]

যদিও ইতিমধ্যে দেশের যাবতীয় সমাজমাধ্যম থেকে বিবিসির ‘বিতর্কিত’ তথ্যচিত্র সরিয়ে দিয়েছে কেন্দ্র। সেই সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধেই মামলা হয়েছে সুপ্রিম কোর্টে। যা নিয়ে এদিন কিরেন রিজিজু মন্তব্য, “এভাবে মাননীয় সুপ্রিম কোর্টের মূল্যবান সময় নষ্ট করা হচ্ছে, যেখানে হাজার হাজার সাধারণ নাগরিক বিচারের জন্য তারিখ খুঁজছেন এবং অপেক্ষা করছেন।” সুপ্রিম কোর্ট শুনানিতে রাজি হওয়ার পর এমন মন্তব্য করা যায় কিনা তা নিয়েই প্রশ্ন উঠছে। 

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ

Advertisement