সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: মাত্র ২৪ ঘণ্টায় চার খুন! বিধানসভা নির্বাচনের কয়েকমাস আগে থেকেই রক্ত ঝরছে বিহারে। রবিবার সকাল পর্যন্ত সেরাজ্যে তিনটি খুনের খবর পাওয়া গিয়েছিল। কিন্তু বেলা গড়াতেই সেই সংখ্যাটা বেড়ে দাঁড়ায় চারে। রবিবার দুপুরে পাটনায় গুলি করে খুন করা হয় এক আইনজীবীকে। প্রশ্ন উঠছে বিহারের আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ে।
শনিবার ব্যবসায়ী পুটু খানকে পয়েন্ট ব্ল্যাঙ্ক রেঞ্জ থেকে গুলি করে খুন করে দুষ্কৃতীরা। বিহারের সীতামারি জেলার অন্যতম জনবহুল বাজার এলাকায় এই হত্যাকাণ্ড ঘটে। সিসিটিভিতে দেখা গিয়েছে কীভাবে প্রকাশ্য দিবালোকে বহু মানুষের মাঝখানে আচমকাই খুন হন পুটু। তবে ঘটনাস্থলেই মৃত্যু হয়নি তাঁর। হাসপাতালে ভর্তি করা হলে সেখানেই শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন তিনি।
কয়েক ঘণ্টার মধ্যে শেখপুরা গ্রামে বর্ষীয়ান চিকিৎসক সুরেন্দ্র কুমারকে বাইকে করে আসা আততায়ীরা গুলিতে ঝাঁজরা করে দেয়। অচেতন অবস্থায় তাঁকে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হলে সেখানেই মৃত্যু হয় তাঁর। পুলিশ স্থানীয় মানুষজনকে জিজ্ঞাসাবাদ করছে। দেহটি পাঠানো হয়েছে ময়নাতদন্তের জন্য। এর আগে শুক্রবার মুদি দোকানের মালিক বিক্রম ঝাকে গুলি করে খুন করে আততায়ীরা। পুলিশ তদন্ত শুরু করলেও কোনও মোটিভ এখনও পর্যন্ত খুঁজে পায়নি। কিন্তু এই তিনটি ঘটনায় এখনও পর্যন্ত কাউকেই গ্রেপ্তার করা হয়নি।
এই তালিকায় চতুর্থ নাম ৫৮ বছর বয়সি জিতেন্দ্র কুমার মাহাতোর। পেশায় আইনজীবী জিতেন্দ্র রবিবার চা খেয়ে বাড়ি ফিরছিলেন। সেই সময়েই আচমকা গুলি চালানো হয় তাঁর উপর। হাসপাতালে নিয়ে গেলে জিতেন্দ্রকে মৃত ঘোষণা করা হয়। পরিবার সূত্রে জানা গিয়েছে, প্রায় বছরদুয়েক পেশা থেকে দূরেই ছিলেন জিতেন্দ্র। কেন তাঁকে খুন করা হল সেই বিষয়ে কোনও ধারণাই নেই পুলিশের।
পরপর এভাবে হাড়হিম হামলার ঘটনার তীব্র নিন্দা করছে বিরোধীরা। এবং সমালোচনা করছে সরকারপক্ষের জোটসঙ্গীরাও। এদিকে নীতীশ প্রশাসন দায় ঠেলতে চাইছে আরজেডির দিকে। সবমিলিয়ে ভোটের কয়েকমাস আগে থেকেই রক্ত ঝরছে বিহারে।
