shono
Advertisement

অলীক প্রতিশ্রুতি নয়! ইস্তেহারে UCC, এক দেশ-এক নির্বাচনে ফোকাস বিজেপির, থাকছে না 'বিভাজন'ও

Published By: Subhajit MandalPosted: 08:56 PM Apr 13, 2024Updated: 09:23 PM Apr 13, 2024

সংবাদ প্রতিদিন ব্যুরো: কংগ্রেসের (Congress) ইস্তেহার প্রকাশিত হয়েছে সপ্তাহখানেক আগে। ছোটখাটো আঞ্চলিক দলও নিজেদের ইস্তেহার প্রকাশ করে ফেলেছে। অথচ ২০৪৭ সাল পর্যন্ত রোডম্যাপ তৈরির দাবি করা বিজেপি ভোটের চারদিন আগে পর্যন্ত ইস্তেহার পর্যন্ত প্রকাশ করতে পারেনি। দীর্ঘ প্রতীক্ষার পর রবিবার গেরুয়া শিবিরের ইস্তেহার প্রকাশ করবেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। ইস্তেহার প্রকাশের দিন হিসাবে বেছে নেওয়া হয়েছে আম্বেদকর জয়ন্তীকে।  এবারে বিজেপির ইস্তেহারে মূল ফোকাস এক দেশ-এক নির্বাচন, অভিন্ন দেওয়ানি বিধির (UCC) মতো সংঘের ইস্যু। 

Advertisement

ইস্তেহার তৈরির জন্য রাজ্যে রাজ্যে আলাদা কমিটি গড়েছিল বিজেপি (BJP)। কেন্দ্রীয় স্তরে রাজনাথ সিংয়ের পৌরোহিত্যে আলাদা একটি কমিটি তৈরি হয়। সেই কমিটিকে মোদি-শাহরা (Amit Shah) স্পষ্ট নির্দেশ দিয়ে দিয়েছিলেন, ইস্তেহারে দেশবাসীকে অলীক স্বপ্ন দেখানো যাবে না। সেই সব প্রতিশ্রুতিই রাখতে হবে, যা পূরণ করা সম্ভব। তাছাড়া সরাসরি ধর্মীয় মেরুকরণের অঙ্কও এড়াতে চাইছে বিজেপি। যাতে জনমানসে মোদির ভাবমূর্তিতে আঘাত না লাগে।

[আরও পড়ুন: সৌদির জেলে ১৮ বছর বন্দি, মৃত্যুদণ্ড এড়াতে প্রয়োজন ৩৪ কোটি! জোগাড় করল কেরলবাসী]

সূত্রের খবর, ইস্তেহারে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির (Narendra Modi) মস্তিস্তপ্রসূত এক দেশ এক নির্বাচন বাস্তবায়ন করার প্রতিশ্রুতি দিতে চলেছে বিজেপি। সংঘ পরিবারের দীর্ঘদিনের এজেন্ডা পূরণের লক্ষ্যে অভিন্ন দেওয়ানি বিধি কার্যকর করার প্রতিশ্রুতিও থাকবে গেরুয়া ইস্তেহারে। তবে সরাসরি রাম মন্দিরের মতো কাশী-মথুরার মন্দির তৈরির প্রসঙ্গ এড়িয়ে যাওয়া হবে। আসলে বিজেপি মনে করছে, রামমন্দির (Ram Mandir) নির্মাণের পর এমনিই হিন্দুত্বের হাওয়া থাকবে। তাই ইস্তেহারে সরাসরি অন্য কোনও মন্দির নির্মাণ রাখা হচ্ছে না। বরং সাংস্কৃতিক দিক থেকে সূক্ষভাবে বিভাজনের ইস্যুগুলি উসকে দেওয়া হবে।

[আরও পড়ুন: ‘খবরদার!’, ইজরায়েলের বুকে হামলার আশঙ্কা নিয়ে ইরানকে কড়া হুঁশিয়ারি বাইডেনের]

গেরুয়া শিবিরের তরফে বারবার দাবি করা হয়, আগামী ২৫ বছরের রোড ম্যাপ তৈরি করে রেখেছে তারা। শেষ মন্ত্রিসভার বৈঠকে প্রধানমন্ত্রী মন্ত্রীদের নির্দেশ দেন, ক্ষমতায় এলে প্রথম এক বছরে কী কী করবেন, তা ইস্তেহার কমিটির কাছে জমা দিতে। প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশ পেতেই মন্ত্রিসভার সদস্যরা তাঁদের মতামত জানিয়ে দেন বলে সূত্রের খবর। তা সত্ত্বেও ইস্তেহার প্রকাশে এত দেরি কেন? রাজনৈতিক মহলের ব্যাখ্যা, নির্বাচনের মুখে ইলেক্টরাল বন্ড, কর্মসংস্থান বা বেকারত্ব এবং মূল্যবৃদ্ধি অস্বস্তিতে ফেলেছে পদ্ম শিবিরকে। এই ইস্যুগুলি সামাল দিতেই সামান্য দেরিতে প্রকাশ করা হচ্ছে ইস্তেহার।

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ

Advertisement