সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: বুধবার মধ্যরাতে বিরলতম ঘটনার সাক্ষী থাকল লোকসভা। সংসদের নিম্নকক্ষে রাত দুটোর সময় গৃহীত হল মণিপুর প্রস্তাব। বিরোধী শিবিরের প্রথম সারির নেতাদের অনুপস্থিতিতে প্রায় ফাঁকা মাঠে প্রস্তাবটি পাশ করিয়ে নিল মোদি সরকার।
বুধবার লোকসভায় ওয়াকফ সংশোধনী পাশ হয় রাত ১টা বেজে ৫৭ মিনিটে। কিন্তু ওই রাতে অধিবেশন মূলতুবি না করে স্পিকার ওম বিড়লা জানান এবার মণিপুর প্রস্তাব নিয়ে আলোচনা হবে। নিয়ম অনুযায়ী, কোথাও রাষ্ট্রপতি শাসন জারি হলে দু’মাসের মধ্যে সংসদীয় অনুমোদনের প্রয়োজন হয়। মণিপুরে অশান্তির জেরে ফেব্রুয়ারি মাসে পদত্যাগ করেন সেরাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী এন বিরেন সিং। তারপর সে রাজ্যে রাষ্ট্রপতি শাসন জারি করা হয়। রাষ্ট্রপতি শাসণের সেই প্রস্তাবই বুধবার মধ্যরাতে সংসদে পেশ করা হয় সরকারের তরফে। এবং সেটা পাশও হয়ে যায়।
যদিও প্রস্তাব নিয়ে সীমিত সময় আলোচনার সময় কড়া ভাষায় সরকারকে নিশানা করে বিরোধীরা। ডিএমকে সাংসদ কানিমোঝি বলেন, "সরকার যে মণিপুরকে একেবারেই গুরুত্ব দেয় না, সেটা বোঝা যাচ্ছে, এই মধ্যরাতে আলোচনার প্রস্তাব দেওয়ায়।" কংগ্রেসের শশী থারুর বলেন, "মণিপুরে এতদিন অগ্নিগর্ভ পরিস্থিতি অথচ এখনও পর্যন্ত প্রধানমন্ত্রী একবারও সে রাজ্যে যেতে পারলেন না।" তৃণমূলের সায়নী ঘোষ প্রশ্ন তোলেন, "সারা বিশ্ব যখন মণিপুর নিয়ে উত্তাল, মহিলাদের উলঙ্গ করে হাঁটানো হচ্ছে, তখনও প্রধানমন্ত্রী নির্বিকার।"
বিরোধীদের আক্রমণের জবাবে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ বলেন, "মণিপুরে শান্তি ফেরানোর জন্য যা যা করণীয় করা হচ্ছে। সেখানে দুই জাতির সংঘর্ষ। কেন্দ্র সরকার এই বিষয়ে যথেষ্ট সংবেদনশীল। বিরোধীরা শুধু রাজনীতি করার জন্যই মণিপুর নিয়ে এত কথা বলছে।" অমিত শাহর ভাষণের পর মণিপুর প্রস্তাবও পাশ হয়ে যায়। রাত ২টো ৪১ নাগাদ লোকসভা মুলতুবি হয়।