সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: মঙ্গলবার গ্রেপ্তার হয়েছেন গোয়ার ‘বার্চ বাই রোমিও লেন’ নামের নাইটক্লাবের মালিক দুই ভাই গৌরব এবং সৌরভ লুথরা। দিল্লি বিমানবন্দর থেকেই তাঁদের গ্রেপ্তার করে পুলিশ। এরপরই গোয়া নিয়ে যাওয়া হয়েছে লুথরাদের। আদালত গোয়া পুলিশকে দু'দিনের ট্রানজিট রিমান্ড মঞ্জুর করেছে।
নাইটক্লাবে অগ্নিকাণ্ডে অনিচ্ছাকৃত খুন ও অবহেলার অভিযোগে অভিযুক্ত লুথরা ভাইদের ম্যাজিস্ট্রেটের সামনে হাজির করা হবে আজই। এদিকে মঙ্গলবার দিল্লির আদালতে ট্রানজিট রিমান্ডের আবেদন করার সময় পুলিশ বলে, লুথরা পরিবারই নাইটক্লাবটির প্রধান মালিক। এবং সেখানকার কার্যক্রম, নিরাপত্তা ব্যবস্থা, অনুমতি ও আয়োজিত অনুষ্ঠানগুলোর ওপর তাদেরই চূড়ান্ত নিয়ন্ত্রণ ছিল।
দুই ভাইয়ের একজনের পরনে ছিল সাদা রঙের হুডি, অপরজন পরেছিলেন একটি কালো সোয়েটশার্ট এবং মাস্ক। আগেই তাঁদের আটক করে দিল্লির বিমানে তোলা হয়। এরপর দেশে ফিরতেই অফিসিয়ালি গ্রেপ্তার করা হয় তাঁদের। উল্লেখ্য, ‘বার্চ বাই রোমিও লেন’ নামের ওই নাইটক্লাবে আগুন লাগে পার্টি চলাকালীন। অগ্নিদগ্ধ হয়ে ২৫ জনের মৃত্যু হয়। তদন্ত শুরু হতেই জানা যায়, এই দুর্ঘটনার নেপথ্যে রয়েছে একাধিক অনিয়ম। বেআইনি নির্মাণ, সংকীর্ণ এবং অপর্যাপ্ত প্রবেশপথ-সহ ভূরি ভূরি অভিযোগ উঠেছে ওই ক্লাবের বিরুদ্ধে। এদিকে দেখা যায়, নাইটক্লাবের দুই মালিক চলে গিয়েছেন থাইল্যান্ডে। তদন্তকারীরা জানতে পারেন, আগুন লাগার একঘণ্টারও কম সময়ের মধ্যে দুই ভাই থাইল্যান্ডের টিকিট কেটেছিলেন। অর্থাৎ দমকল আগুন নেভানোর চেষ্টা করছে, এই পরিস্থিতিতেই তাঁরা গাঢাকা দেন। তবে তাঁর আইনজীবীরা অবশ্য দাবি করেছিলেন আগে থেকেই থাইল্যান্ড সফরের পরিকল্পনা ছিল দুই ভাইয়ের। তাঁদের নাগাল পেতে ব্লু কর্নার নোটিস জারি করে ইন্টারপোল। এদিকে লুথরাদের আইনজীবী দাবি করেন, রক্ষাকবচ পেলেই দেশে ফিরবেন দুই ভাই। যদিও সেই আবেদনে সাড়া দেয়নি আদালত। এরপর আটক হন তাঁরা। এবার তাঁদের ফেরানো হল দেশে। উল্লেখ্য, হোটেল ব্যবসায় প্রভাবশালী হিসেবে পরিচিত লুথরা ভাইদের বিরুদ্ধে বড় কর্পোরেট জালিয়াতির অভিযোগও উঠে এসেছে।
