সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: পহেলগাঁওয়ে ভয়াবহ জঙ্গি হামলায় মৃতের পরিবারের পাশে দাঁড়িয়ে বড় ঘোষণা মহারাষ্ট্র সরকারের। ক্যাবিনেট বৈঠকের পর মঙ্গলবার দেবেন্দ্র ফড়ণবিস সরকারের তরফে ঘোষণা করা হয়েছে পহেলগাঁওয়ে মৃতদের পরিবারকে ৫০ লক্ষ টাকা করে আর্থিক সাহায্য দেওয়া হবে। একইসঙ্গে পরিবারের একজনকে সরকারি চাকরি ও মৃতের সন্তানের পড়াশুনোর পুরো খরচ সরকার বহন করবে।
২২ এপ্রিল কাশ্মীরের পহেলগাঁওয়ে ২৫ জন পর্যটক এবং একজন স্থানীয়কে গুলি করে মারে জঙ্গিরা। জানা যায়, পর্যটকদের ধর্ম জিজ্ঞাসা করে বেছে বেছে হিন্দুদের হত্যা করে জঙ্গিরা। এই ঘটনায় পাকিস্তানের দিকে উঠেছে অভিযোগের আঙুল। ভারত-পাক দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ক তলানিতে ঠেকেছে। প্রাথমিক প্রত্যাঘাত হিসাবে সিন্ধু জল চুক্তি স্থগিত করেছে ভারত। ফেরানো হচ্ছে পাক নাগরিকদের। বন্ধ করা হচ্ছে পাক টুইটার অ্যাকাউন্ট, ইউটিউব চ্যানেল। যদিও এখনও পর্যন্ত পাকিস্তানে সামরিক আক্রমণের মতো বড় ঘোষণা করেনি কেন্দ্র। তবে বদলার হুঁশিয়ারি দিয়েছে সরকার।
জানা যাচ্ছে, নৃশংস এই জঙ্গি হামলায় মৃত ২৬ জনের মধ্যে ৬ জন মহারাষ্ট্রের বাসিন্দা। অসহায় সেই পরিবারগুলির পাশে দাঁড়াতে মঙ্গলবার বড় ঘোষণা করল ফড়ণবিস সরকার। এ প্রসঙ্গে মুখ্যমন্ত্রী দেবেন্দ্র ফড়ণবিস বলেন, "আজ মন্ত্রিসভার বৈঠকে সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে পহেলগাঁওয়ে যাঁদের মৃত্যু হয়েছে তাঁদের পরিবারকে ৫০ লক্ষ টাকা করে সাহায্য দেবে সরকার। তাঁদের সন্তানদের পড়াশুনোর খরচ ও পরিবারের একজন চাকরি দেওয়ারও সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।" মুখ্যমন্ত্রী আরও বলেন, "এই আর্থিক সহায়তার মাধ্যমে আমরা বার্তা দিতে চাই যে সরকার সম্পূর্ণরূপে ওই পরিবারগুলির পাশে রয়েছে।"
এদিকে পহেলগাঁও জঙ্গি হামলার পর রাজনৈতিক সংঘাত চরম আকার নিয়েছে দেশের অন্দরে। সর্বদল বৈঠকে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি অনুপস্থিতির জেরে সোশাল মিডিয়ায় একটি মোদির মুণ্ডহীন একটি ছবি শেয়ার করেছে কংগ্রেস। যার মাথাতে লেখা ‘গায়েব’ অর্থাৎ নিখোঁজ। ক্যাপশনে লেখা হয়েছে, ‘দায়িত্বের সময় অদৃশ্য’। এর পাল্টা হাত শিবিরকে তোপ দেগেছে বিজেপি। গেরুয়া শিবিরের তরফে জানানো হয়েছে, “আমাদের দেশে একটি রাজনৈতিক দল রয়েছে, তাদের যদি আমরা লস্কর ই পাকিস্তান কংগ্রেস বলি তবে ভুল বলা হবে না। কংগ্রেস সোশাল মিডিয়ায় মোদির যে ছবি শেয়ার করেছে তাতে পাকিস্তানকে জোরালো বার্তা দেওয়া হয়েছে যে, ওদের (পাকিস্তান) সমর্থক মিরজাফররা এখানে রয়েছে। ‘সর তান সে জুদা’ (শরীর থেকে মাথা আলাদা) আজ লস্কর ই পাকিস্তান কংগ্রেসের আদর্শে পরিণত হয়েছে। রাহুল গান্ধীর নির্দেশে এই পোস্ট করা হয়েছে। এই পোস্ট দেশবাসীর জন্য লজ্জার। এই কঠিন সময়ে ভারতকে দুর্বল করার জন্য লস্কর ই পাকিস্তান কংগ্রেসের এক ঘৃণ্য প্রচেষ্টা।”
