সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: মহারাষ্ট্রে মারাঠি অস্মিতায় হাওয়া দিতে এবার বড় পদক্ষেপ দেবেন্দ্র ফড়ণবিস সরকারের। রীতিমতো বিজ্ঞপ্তি জারি করে জানিয়ে দেওয়া হল, রাজ্যের সমস্ত সরকারি কাজে বাধ্যতামূলক হবে মারাঠি ভাষা। এমনকী সব সরকারি কর্মীকে কথাও বলতে হবে এই ভাষাতে। এই নির্দেশ অমান্য করলে নেওয়া হবে কড়া পদক্ষেপ।
মহারাষ্ট্র সরকারের নয়া নির্দেশিকায় জানানো হয়েছে, রাজ্যের সমস্ত সরকারি, আধা-সরকারি অফিস থেকে শুরু করে মহারাষ্ট্র সরকারের অধীনে থাকা কোনও কর্পোরেশন এবং সরকারের সঙ্গে যুক্ত যে কোনও অফিসে এখন কথা বলতে হবে মারাঠি ভাষায়। যদি এই নির্দেশ অমান্য করা হয়, সেক্ষেত্রে দায়িত্বপ্রাপ্ত আধিকারিক ও সংশ্লিষ্ট বিভাগের বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের করা যাবে। মারাঠি ভাষায় কথা না বললে তা সরকারি নিয়মভঙ্গের মতোই দেখা হবে। যে সরকারি কর্মীর বিরুদ্ধে নিয়মভঙ্গের অভিযোগ উঠবে তাঁর বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেবে সংশ্লিষ্ট বিভাগ। অভিযোগকারীর যদি মনে হয় উপযুক্ত ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি সেক্ষেত্রে মহারাষ্ট্র আইনসভায় মারাঠি ভাষা কমিটির কাছে আপিল করা যাবে।
যদিও সরকারি নির্দেশিকায় এটাও বলা হয়েছে, এই নিয়ম লাগু হবে শুধুমাত্র মহারাষ্ট্রে বসবাসকারীদের জন্য। অন্য রাজ্যের বাসিন্দা এবং বিদেশিদের সঙ্গে অন্য ভাষায় কথা বলতে পারবেন সরকারি আধিকারিকরা। সেক্ষেত্রে এই নিয়ম লাগু হবে না। তবে মহারাষ্ট্রের বাসিন্দাদের সঙ্গে মারাঠি ভাষায় কথা বলাতো বটেই যে কোনওরকম বিজ্ঞপ্তি বা মেসেজ মারাঠা ভাষাতেই লিখতে হবে।
উল্লেখ্য, মহারাষ্ট্রে মারাঠি অস্মিতা নতুন কিছু নয়। বালাসাহেব ঠাকরের শিবসেনা এই মারাঠি অস্মিতার উপর দাঁড়িয়েই নিজেদের রাজনৈতিক অস্তিত্ব কায়েম রেখেছিল। তারপর শিবসেনা ভেঙে খানখান হয়েছে। রাজ ঠাকরে নতুন দল গড়ে রাজ্য রাজনীতিতে কোণঠাসা হয়েছেন। তবে মারাঠি অস্মিতায় ভাটা পড়েনি এতটুকু। শিন্ডের শিবসেনা থেকে উদ্ধব ঠাকরের শিবসেনা সর্বত্রই ঘুরেফিরে এসেছে মারাঠি অস্মিতা। এবার অস্মিতার লড়াইয়ে বড় দাঁও মারলেন দেবেন্দ্র ফড়ণবিস।
