সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: চলন্ত বাসে দুই মহিলা সহযাত্রীর মাঝখানে বসে হস্তমৈথুন করার অভিযোগ উঠেছিল এক ব্যক্তির বিরুদ্ধে। তিন সপ্তাহ পুলিশি হেফাজতে থাকার পরে গত শনিবার মুক্তি পেয়েছে অভিযুক্ত। বাড়ি ফেরার আনন্দে ধুমধাম করে অভিযুক্তকে সংবর্ধনাও দেওয়া হয়েছে। তবে যে তরুণীর অভিযোগের ভিত্তিতে সাজা পেয়েছে ওই যুবক, সোশ্যাল মিডিয়ায় লাগাতার হুমকি ও হেনস্তার মুখে পড়তে হয়েছে তাঁকে। আশ্চর্যজনকভাবে, অভিযুক্ত জামিন পাওয়ার পরেই একেবারে জাদুর মতো থেমে গিয়েছে যাবতীয় হেনস্তা। গোটা ঘটনায় হতাশ অভিযোগকারী নন্দিতা সাঙ্কারা।
ঠিক কী ঘটেছিল? গত ১৮মে কোচির (Kochi) একটি বাসে উঠেছিলেন নন্দিতা। সেই সময়ে এক যুবক তাঁর পাশে বসে। চলন্ত বাসেই প্যান্টের চেন খুলে হস্তমৈথুন শুরু করে ওই ব্যক্তি। গোটা ঘটনার ভিডিও তুলে সোশ্যাল মিডিয়ায় ছড়িয়ে দেন নন্দিতা। একাধিক জায়গায় অভিযোগও দায়ের করেন তিনি। ঘটনার পরেই পুলিশের হাতে ধরা পড়ে অভিযুক্ত। তিন সপ্তাহের জন্য সাভাদ শাহ নামে ওই অভিযুক্তকে পুলিশি হেফাজতে পাঠানো হয়।
[আরও পড়ুন: Sakshi Malik: আন্দোলন থেকে নাম তুললেন? রেলের চাকরিতে যোগ দিয়ে মুখ খুললেন সাক্ষী মালিক]
সাভাদকে আটক করার পর থেকেই সোশ্যাল মিডিয়ায় লাগাতার হেনস্তার মুখে পড়েন নন্দিতা। নেটিজেনরা তাঁর পোশাক, চরিত্র সমস্ত কিছু নিয়ে আপত্তিকর মন্তব্য করেন। হতাশায় সোশ্যাল মিডিয়া থেকে নিজেকে সরিয়ে নেন নন্দিতা। তারপর গত ৩ জুন পুলিশি হেফাজত থেকে জামিন পান সাভাদ। তিনি মুক্তি পেতেই জেলের বাইরে তাঁকে সংবর্ধনা দেন ‘অল কেরালা মেনস অ্যাসোসিয়েশন’। সংগঠনের পক্ষ থেকে অভিযুক্তকে আশ্বাস দেওয়া হয়, “ভেঙে পড়ো না, আমরা তোমার পাশে আছি। তুমি কোনও অন্যায় করোনি।”
এই সংবর্ধনার ভিডিও ছড়িয়ে পড়ে সর্বত্র। তারপর থেকেই নন্দিতার প্রতি বিদ্বেষমূলক মন্তব্যের মাত্রা অনেক কমে এসেছে বলেই জানিয়েছেন তিনি। কিন্তু এই ঘটনায় স্বভাবতই হতাশ নন্দিতা। তিনি বলেন, “যেভাবে সংবর্ধনা দেওয়া হয়েছে, তাতে সাভাদকে একেবারে মিমের কার্টুন বলে মনে হচ্ছে। আসলে এক শ্রেণির মানুষ যৌন অপরাধীদের মাথায় তুলে রাখে। ধর্ষণের অভিযুক্তরা জামিন পেলে তাদের মালা পরিয়ে বরণ করা হয়।”