সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: আগেই এনকাউন্টারে খতম হয়েছে সিপিআই (মাওবাদী)-র শীর্ষনেতা ও সাধারণ সম্পাদক নাম্বালা কেশব রাও ওরফে বাসবরাজু। 'লাল সন্ত্রাসে'র কোমর গুঁড়িয়ে দিতে এবার নিকেশ হল আরেক কুখ্যাত মাওবাদী নেতা পাপ্পু লোহারা। আজ শনিবার ঝাড়খণ্ডের লাতেহারে নিরাপত্তাবাহিনীর হাতে নিকেশ হয়েছে সে। মাথার দাম ছিল ১০ লক্ষ। ফলে ২০২৬ সালের মধ্যে মাওবাদীমুক্ত দেশ গড়ার যে লক্ষ্য স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ নিয়েছেন, তা আরও একধাপ এগোল।
গত ২১ মার্চ (বুধবার) যৌথ বাহিনীর সঙ্গে সংঘর্ষে মৃত্যু হয় বাসবরাজুর। কিন্তু এত বড় ধাক্কার পরও হাল ছাড়তে নারাজ সংগঠনের শীর্ষ নেতৃত্ব। এর মধ্যেই নতুন সাধারণ সম্পাদক খোঁজার কাজ শুরু হয়ে গিয়েছে বলে সূত্রের খবর। যা নিয়ে সতর্ক কেন্দ্র। ছত্তিশগড়ের পাশাপাশি ঝাড়খণ্ডের একাধিক জেলায় চিরুনি তল্লাশি চলছে। জানা গিয়েছে, আজ লাতেহারে অভিযানে নামে নিরাপত্তাবাহিনী। সেখানেই মাওবাদী গোষ্ঠী ঝাড়খণ্ড জনমুক্তি পরিষদের মাথা পাপ্পু লোহারাকে খতম করে জওয়ানরা। নিকেশ হয়েছে তার সহযোগী প্রভাত গঞ্জুও। যার মাথার দাম ছিল ৫ লক্ষ টাকা। এই দলেরই আরেক সদস্যকে জখম অবস্থায় গ্রেপ্তার করা হয়েছে। তার কাছ থেকে ইনসাস রাইফেল ও অন্যান্য অস্ত্রশস্ত্র উদ্ধার হয়েছে।
উল্লেখ্য, বুধবার ছত্তিশগড়ের বস্তারে মাওবাদীদের বিরুদ্ধে নিরাপত্তাবাহিনীর গুলির লড়াইয়ে এখনও পর্যন্ত ২৬ জনের মৃত্যুর খবর প্রকাশ্যে এসেছে। সেদিন গোপন সূত্রে খবর পেয়ে অবুজমাঢ় এলাকাতেও অভিযানে নামে জওয়ানরা। এই অবস্থায় পিছু হঠার জায়গা না পেয়ে, রীতিমতো মরিয়া হয়ে নিরাপত্তাবাহিনীকে লক্ষ্য করে গুলি চালাতে শুরু করে মাওবাদীরা। গুলির লড়াইয়ে মৃত্যু হয় বাসবরাজুর।
এই মাও নেতার মৃত্যুর পর কে সংগঠনের শীর্ষ পদে বসে সে দিকে নজর রেখেছে গোয়েন্দারাও। আপাতত দু’জনের নাম গোয়েন্দাদের কাছে এসেছে বলে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রক সূত্রে খবর। যদিও সংগঠনের তরফে কোনও বিবৃতি জারি করা হয়নি। সূত্রের খবর ফের দক্ষিণ ভারত থেকেই নতুন সাধারণ সম্পাদক নিয়োগ করা হতে পারে। যে দু’জনের নাম নিয়ে আপাতত আলোচনা শুরু হয়েছে তারা হলেন, পলিটব্যুরোর সদস্য বেনুগোপাল ওরফে সোনু ও দেবজি তিরুপতি।