সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: জম্মু ও কাশ্মীরে সংরক্ষণ নীতির বিরুদ্ধে বৃহত্তর আন্দোলন শুরু করেছে সেখানকার ছাত্রসমাজ। সেই আন্দোলনে প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষভাবে মদত দিচ্ছেন পিডিপি নেত্রী মেহবুবা মুফতি একাধিক শীর্ষ নেতৃত্ব। এই ঘটনায় এবার কড়া পদক্ষেপ করল প্রশাসন। গৃহবন্দি করা হল মেহবুবা, ন্যাশনাল কনফারেন্সের সাংসদ সৈয়দ রুহুল্লাহ মেহদি-সহ একাধিক শীর্ষ নেতৃত্বকে।
জম্মু ও কাশ্মীরে লেফটেন্যান্ট গভর্নর প্রশাসন কর্তৃক তপশিলি উপজাতি ও ওবিসি-দের জন্য সংরক্ষণ বাড়ানোর ফলে মোট সংরক্ষণ প্রায় ৭০% হয়েছে। এর জেরে ওপেন মেরিট কোটাকে প্রায় ৩০ শতাংশে নামিয়ে আনা হয়েছে। এই ঘটনায় ক্ষুব্ধ সেখানকার ছাত্র সমাজ। ২০২৪ সালের নির্বাচনের আগে এই নীতি বদলের প্রতিশ্রুতি দিয়ে ক্ষমতায় এসেছিলেন ওমর আবদুল্লা। তবে সরকার গঠনের এক বছর পেরিয়ে গেলেও প্রতিশ্রুতি বাস্তবায়িত হয়নি। একটি প্যানেল গঠন করা হয়েছে ঠিকই কিন্তু কোনও তৎপরতা নেই। এহেন পরিস্থিতিতে বৃহত্তর আন্দোলনের ডাক দিয়েছে সেখানকার ছাত্র সমাজ। তাঁদের প্রত্যক্ষভাবে সমর্থন দিয়েছেন মেহবুবা মুফতি-সহ অন্যান্য নেতৃত্বরা।
সেইমতো রবিবার গুপকার রোডে শান্তিপূর্ণ বিক্ষোভ কর্মসূচির ডাক দিয়েছিল ছাত্ররা। সেই বিক্ষোভে যোগ দেওয়ার কথা ছিল মেহবুবা-সহ জম্মু ও কাশ্মীরের অন্যান্য নেতাদের। তবে সেখানে যোগ দেওয়ার আগেই গৃহবন্দি করা হয় মেহবুবা মুফতি, তাঁর কন্যা ইলতিয়াজ মুফতি, শ্রীনগরের সাংসদ রুহুল্লা মেহেদি, পিডিপি নেতা ওয়াহিদ পারা, শ্রীনগরের প্রাক্তন মেয়র জুনেইদ মাত্তো-সহ একাধিক জনকে।
এই ঘটনায় যারপরনাই ক্ষুব্ধ ওয়াহিদ পারা বলেন, 'এটা দুর্ভাগ্যজনক আন্দোলনরত পড়ুয়াদের সঙ্গে সংহতি প্রকাশ করতে বাধা দেওয়ার জন্য নেতাদের গৃহবন্দী করে রাখা হয়েছে।' শনিবার রাতে এক্স-হ্যান্ডেলে রুহুল্লা মেহেদি জানান, তার বাসভবনের বাইরে সশস্ত্র পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে। তিনি প্রশ্ন তোলেন, 'এটা কি শিক্ষার্থীদের সমর্থনে শান্তিপূর্ণ বিক্ষোভ দমন করার জন্য পূর্বপরিকল্পিত পদক্ষেপ?'
