সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: মিলছে না ভাল খাবার। ন্যূনতম দৈনন্দিন পরিষেবা পেতে লম্বা লাইনে দাঁড়াতে হচ্ছে। সরকারি সাহায্য সেভাব মিলছে না বললেই চলে। এই পরিস্থিতিতে আবার প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি লকডাউন বৃদ্ধির ইঙ্গিত দিয়েছেন। যা শুনে ধৈর্যের বাদ ভাঙল গুজরাটের সুরাটে (Surat) আটকে থাকা কয়েকশো পরিযায়ী শ্রমিকের (Migrant workers)। শুক্রবার রাতে লকডাউন অমান্য করে স্বাস্থ্যবিধি ভেঙে রাস্তায় নেমে বিক্ষোভ দেখালেন তাঁরা। দাবি একটাই, ‘আমরা ঘরে ফিরতে চাই’।
[আরও পড়ুন: করোনা রুখতে আমেরিকা, জার্মানির থেকেও কার্যকরী ভারত সরকার! দাবি সমীক্ষার]
সুরাট পুলিশ সুত্রের খবর, শুক্রবার রাতে একপ্রকার হঠাতই সুরাটের একটি বাজারে জমায়েত করেন ওই পরিযায়ী শ্রমিকরা। ঘরে ফেরানোর দাবিতে বিক্ষোভ দেখান তাঁরা। জ্বালানো হয় টায়ার, কয়েকটি দোকান। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে যায় পুলিশ। বিশাল পুলিশ বাহিনী মোতায়েন করে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনা হয়েছে। পুলিশ জানিয়েছে, বিদ্রোহী শ্রমিকদের অধিকাংশই ওড়িশার বাসিন্দা। ওদের দাবি, সরকার তাঁদের কোনও সাহায্য করছে না। একটি স্বেচ্ছাসেবী সংস্থা তাঁদের খাবার দিলেও তা খাওয়ার উপযুক্ত নয়। এবং সংগ্রহ করতে হয় লম্বা লাইন দাঁড়িয়ে। উল্লেখ্য, ভারতে করোনার প্রকোপে সবচেয়ে বেশি যে রাজ্যগুলি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে, তাঁর মধ্যে একটা হল গুজরাট। এই পরিস্থিতিতে শ্রমিকদের এই জমায়েত বাড়াচ্ছে আশঙ্কা।
[আরও পড়ুন: করোনা আবহে দ্রুত কাজে ফেরার নির্দেশ কেন্দ্রের! প্রত্যাখ্যান করলেন বিদ্রোহী IAS গোপীনাথন]
প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি (Narendra Modi) ২১ দিনের লকডাউন ঘোষণা করতেই দুর্বিষহ হয়ে উঠেছে এদের জীবন। কাজ খুইয়ে, অস্থায়ী বাসস্থান খুইয়ে দিশেহারা হয়ে উঠেছেন এই ঠিকা শ্রমিকরা। লকডাউনের সময় কারও সাহায্য পাওয়ার প্রত্যাশাও নেই। বাড়ি ফিরে প্রিয়জনকে দেখার সাধ, পেটপুরে একবেলা খাওয়ার ইচ্ছা এদের মরিয়া করে দিয়েছে। অনেককেই দেখা গিয়েছে স্বাস্থ্য সচেতনতার বিধি-নিষেধ অমান্য করে রাস্তায় নামতে। যা বিপজ্জনক।
The post ‘ঘরে ফিরতে চাই’, লকডাউন বৃদ্ধির ইঙ্গিত মিলতেই বিক্ষোভ কয়েকশো পরিযায়ী শ্রমিকের appeared first on Sangbad Pratidin.
