সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: বিয়ের মতোই লিভ ইন (Live In) সম্পর্কেও রেজিস্ট্রেশনের দাবিতে মামলা হয়েছিল সুপ্রিম কোর্টে (Supreme Court)। আবেদনকারী দাবি করেছিলেন, লিভ ইন সম্পর্কের ক্ষেত্রে রেজিস্ট্রেশন চালু হলে শ্রদ্ধা ওয়ালকার হত্যাকাণ্ডের মতো ভয়ংকর ঘটনা ভবিষ্যতে ঘটবে না। যদিও সোমবার এই মামলা খারিজ করল শীর্ষ আদালত। প্রধান বিচারপতি ডি ওয়াই চন্দ্রচূড়ের মন্তব্য, লিভ ইন সম্পর্কে রেজিস্ট্রেশন ‘খরগোশের ভাবনা’।
সপ্তাহ খানেক আগে লিভ ইন সম্পর্কে রেজিস্ট্রেশনের দাবিতে জনস্বার্থ মামলা করেছিলেন আইনজীবী মমতা রানি। তিনি দাবি করেছিলেন, লিভ ইন সম্পর্কে থাকার বিষয়ে কোনও নির্দেশিকা না থাকাতেই হত্যা এবং ধর্ষণের মতো অপরাধ ঘটছে। যা প্রতিরোধে রেজিস্ট্রেশন বড় ভূমিকা নিতে পারে। পিআইএল-এ শ্রদ্ধা ওয়ালকার হত্যাকাণ্ড-সহ একাধিক ঘটনার উল্লেখ করে যুক্তি সাজিয়েছিলেন ওই আইনজীবী।
[আরও পড়ুন: গ্রুপ ডি শূন্যপদে নিয়োগে অন্তর্বর্তীকালীন স্থগিতাদেশ বহাল সুপ্রিম কোর্টে, আটকে ১৯১১ চাকরি]
লিভ ইন সম্পর্ক রেজিস্ট্রেশন বা নিবন্ধনের ক্ষেত্রে কী কী জরুরি বিষয় থাকা উচিত তাও উল্লেখ করেছিলেন আবেদনকারী। মমতার মতে যুগলের পারিবারিক ইতিহাস, বৈবাহিক অবস্থা, আর্থিক ক্ষমতা, অপরাধের ইতিহাস আছে কি না ইত্যাদি প্রাসঙ্গিক তথ্য সংগ্রহ করা উচিত। এর ফলে সরকারের কাছে লিভ ইন সম্পর্কে থাকা যুগলের তথ্য ভাণ্ডার থাকবে। যা তাঁদের জীবনকে সুরক্ষিত করবে।
[আরও পড়ুন: আন্তর্জাতিক ক্ষেত্রে একসঙ্গে কাজ ভারত-জাপানের, মোদি-কিশিদার বৈঠকে কি নিশানায় চিন?]
যদিও সোমবার শুনানির সময় উত্তেজিত দেখায় প্রধান বিচারপতি ডি ওয়াই চন্দ্রচূড়কে। তিনি এমন মামলায় বিরক্তি প্রকাশ করেন। বলেন, “এটা কী? এখানে (সুপ্রিম কোর্টে) যা খুশি দাবি নিয়ে আসা যাবে? এরপর এমন দাবির ক্ষেত্রে খরচ চাপানো হবে।” প্রধান বিচারপতি প্রশ্ন তোলেন, “কার সঙ্গে নিবন্ধন? কেন্দ্রীয় সরকার? লিভ ইনের সঙ্গে সরকারের কী সম্পর্ক? আপনি লিভ ইন সম্পর্কে থাকা মানুষের নিরাপত্তা বাড়ানোর চেষ্টা করছেন, নাকি তাঁদের সম্পর্কে থাকতে দিতে চান না?”