সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: দুইয়ের বেশি সন্তান কেন। এই মর্মে মধ্যপ্রদেশে (Madhya Pradesh) শোকজ করা হল রাজ্য সরকারের ১ হাজার কর্মী ও শিক্ষককে। এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে চাঞ্চল্য সৃষ্টি হয়েছে। ইতিমধ্যেই ১৬০ জন শিক্ষক এই শোকজের জবাব দিয়েছেন।
অধিকাংশ শিক্ষকেরই দাবি, যখন চাকরিতে যোগ দিয়েছেন তখন এই ধরনের কোনও নিয়ম তাঁরা জানতেন না। আবার কারও দাবি, তাঁরা বন্ধ্যাত্বকরণ করালেও তাতে কাজ হয়নি। এমনকী, কেউ কেউ এই দাবিও করেছেন, তাঁরা তাঁদের তৃতীয় সন্তান হওয়ার পরে ঘনিষ্ঠ কোনও আত্মীয় দত্তক নিয়েছেন।
[আরও পড়ুন: মোদিকে খোঁচা দিয়েছিলেন, নিজেও গুজরাটে এসে চরকা কাটলেন অরবিন্দ কেজরিওয়াল]
কিন্তু কেন হঠাৎ উঠল এমন প্রসঙ্গ? আসলে সম্প্রতি সেরাজ্যের বিধানসভায় এক বিধায়ক একটি পুরনো আইনের প্রসঙ্গ তোলেন। কী সেই আইন? প্রায় দুই দশকেরও বেশি সময় আগে ২০০০ সালে মধ্যপ্রদেশ সরকারের তরফে একটি নির্দেশিকা জারি করা হয়। তাতে বলা হয়েছিল, ২০০১ সালের ২৬ জানুয়ারির পরে যদি শিক্ষা দপ্তরের কোনও কর্মী কিংবা শিক্ষকের তৃতীয় সন্তানের জন্ম হয় তাহলে তাঁদের চাকরি থেকে বরখাস্ত করা হবে।
বিধানসভায় সেই প্রশ্নটি ওঠার পর থেকেই বিতর্ক ঘনিয়ে ওঠে। রাজ্যে শিক্ষা দপ্তরের তরফে ৯৫৫ জন শিক্ষক-কর্মীকে শোকজ করে। এরপরই বিতর্ক নতুন মোড় নেয়। তবে এখনও পর্যন্ত মাত্র শোকজের উত্তর দিয়েছেন মাত্র ১৬০ জন। তাঁদের মধ্যে অধিকাংশ শিক্ষকেরই দাবি, তাঁরা যখন চাকরিতে যোগ দিয়েছিলেন সেই সময় এই নিয়ম ছিল না। এবং পরে যখন নিয়মটি করা হয় তখনও তাঁদের কিছু জানানো হয়নি।
কেউ কেউ অবশ্য দোষ দিয়েছেন বন্ধ্যাত্বকরণের অপারেশন কার্যকর না হওয়াকেই। তাঁরা স্পষ্ট জানাচ্ছেন, দু’টি সন্তান হওয়ার পরে তাঁরা ওই অপারেশন করিয়ে নিয়েছিলেন। কিন্তু এরপরও তাঁদের সন্তান হয়েছে। বাকিদের বক্তব্য, তাঁদের তৃতীয় সন্তান তাঁরা দত্তক দিয়েছেন অন্য আত্মীয়দের। যদিও দত্তকের আইনি কাগজপত্র তাঁরা দেখাতে পারেননি। আপাতত এই বিতর্কে সরগরম মধ্যপ্রদেশ।